হাতেহাত: বালুরঘাটে তৃণমূলের বৈঠকে বিপ্লব মিত্র, গৌতম দেব, অর্পিতা ঘোষ ও বাচ্চু হাঁসদা। ছবি: অমিত মোহান্ত
কোর কমিটির বৈঠকেও অর্পিতা ঘোষকে নিয়ে উঠল বহিরাগত তত্ত্ব। পাল্টা অভিযোগে সরবও হল সভা। অর্পিতাকে প্রার্থী করা না করা নিয়ে পুরনো মান অভিমানের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার ডাক দিলেন বিপ্লব মিত্র।
রবিবার বিকেলে বালুরঘাটের একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে তৃণমূল কোর কমিটির বর্ধিত বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব বলেন, সব বিভ্রান্তির অবসান হয়েছে। পুরনো চ্যাপ্টার ক্লোজড। বৈঠকে উপস্থিত এ জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক গৌতম দেব বলেন, ‘‘বিপ্লবদা বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। আমাদের থেকেও পুরনো। কী করে ভোট করতে হয়, তিনি জানেন।’’
লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকেই এই কেন্দ্রে বিপ্লববাবু ও অর্পিতার অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তবে শেয পর্যন্ত কালীঘাটে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৌঠকের পরে দু’পক্ষ এক সঙ্গে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, তারপরেও বিবাদ মেটেনি। সে কারণেই বালুরঘাটের একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে এ দিন ওই বৈঠকে ছিলেন গৌতমবাবু, বিপ্লববাবু, প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী এবং কোর কমিটির ২২ জন সহ মোট ৭০ জন সদস্য। প্রায় দু’ঘণ্টার বৈঠকে জেলা সভাপতি ও অর্পিতা অনুগামীর মধ্যে দোষ ত্রুটি ধরা নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এক পক্ষ বন্যার সময় অর্পিতার দীর্ঘ অনুপস্থিতির কথা তোলেন। অর্পিতা অন্য সময়েও জনসংযোগ রাখতেন না বলে দাবি তোলা হয়। অন্য পক্ষ দাবি করেন, প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেও কী করে বিপ্লববাবু নতুন প্রার্থীর দাবি করেছিলেন? এ নিয়ে শুরু হয় বাক বিতণ্ডা। যদিও গৌতম ও বিপ্লব পরিস্থিতি সামলে নেন।
বিপ্লব জানান, বৈঠক থেকে বালুরঘাট লোকসভা আসন তাদের জিততে কৌশল ঠিক করা হয়েছে। নেতারা বুথকর্মীদের এক হয়ে লড়াইয়ে বার্তা পৌঁছে দেবেন। অর্পিতার বক্তব্য, ‘‘বিপ্লবদার নেতৃত্বে সকলে মিলিত ভাবে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন। প্রচারও শুরু হবে।’’