প্রতীকী ছবি।
দুপুর প্রায় আড়াইটে। তিস্তাবাজার থেকে গাড়ির মিছিল করে এসে তখন কালিম্পংয়ের দরজায় দরজায় ঘুরে প্রচার করছেন রাজু বিস্তা। সঙ্গে বিজেপির কর্মীরা ছাড়াও রয়েছেন জিএনএলএফের লোকজন। রয়েছেন মোর্চার বিমল গুরুংপন্থী নেতা রমেশ আলে। এর মধ্যেই ফিসফাস, মনোনয়ন নাকি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন জাপের প্রার্থী হরকাবাহাদুর ছেত্রী, সিপিআরএমের আরবি রাই, নির্দল প্রার্থী ঋষিকা ছেত্রী, বিমলপন্থী স্বরাজ থাপা।
দার্জিলিং লোকসভা আসনে শুক্রবারই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বিকেল পাঁচটার পরে আরবি রাই আর স্বরাজ থাপা সরে গেলেও দৌড়ে রয়েছেন হরকা এবং ঋষিকা। বিমলের ডাক শুনে কি সরে যাচ্ছেন? হেসেই উড়িয়ে দেন হরকা। বলেন, ‘‘কোনও প্রশ্নই নেই।’’ ঋষিকা বলেন, ‘‘এ গুলো রটনা।’’
পাহাড়ের মানুষের একাংশের দাবি, এই কথা রটানো হয়েছে বিমলপন্থী মোর্চা নেতাদের তরফে। রমেশ নিজেও এ দিন এক সময়ে দাবি করেন, বিমলের ডাক শুনে শেষ অবধি পিছিয়ে যেতে পারেন বাকিরা। কিন্তু গুরুংপন্থী মোর্চা বা বিজেপিপন্থীরা চাইছেন, তৃণমূল বাদে বাকি প্রার্থীরা সরে দাঁড়ান? এর জবাবে পাহাড়ের একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘ দিন পাহাড়ে না থাকার ফলে বিমল বুঝতে পারছেন না, তাঁর জনপ্রিয়তা কোথায় দাঁড়িয়ে। ২০০৯ বা ২০১৪ সালে যে ভাবে একার চেষ্টায় তিনি বিজেপি প্রার্থীদের জিতিয়েছিলেন, এ বারে কি তা সম্ভব হবে? এই সংশয় থেকেই হয়তো বিমল অডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। আর এই সংশয় থেকেই সম্ভবত বাকিরা সরে যাচ্ছেন বলে রটানো হয়েছিল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিমলপন্থীরা অবশ্য বলছেন, লড়াইটা সরাসরি বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর হওয়া উচিত। তাতেই পাহাড়ের মানুষ জবাব দেবেন বিনয়দের।