ভোটের সময় ফোনে আড়ি পাতবে আয়কর দফতর

দেশের বিভিন্ন বড় শহরে বসে এর আগেও ফোনে আড়ি পেতেছে আয়কর দফতর।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০৫:০৯
Share:

আয়কর দফতর সূত্রের খবর, কোনও দুই ব্যক্তির মধ্যে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হতে চলেছে, এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে এলে তাঁদের ফোনে আড়ি পাতা হবে।

এই প্রথম নির্বাচনের সময়ে ফোনে আড়ি পাততে চলেছে আয়কর দফতর।

Advertisement

আয়কর দফতর সূত্রের খবর, কোনও দুই ব্যক্তির মধ্যে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হতে চলেছে, এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে এলে তাঁদের ফোনে আড়ি পাতা হবে। কারও কাছে বড় অঙ্কের টাকা পৌঁছলেও তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হবে। এই নজরদারির মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী, রাজনৈতিক দলের নেতাও থাকতে পারেন।

১০ লক্ষ টাকার বেশি অঙ্কের নগদ টাকা এবং ১ কিলোগ্রামের বেশি সোনা লেনদেনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তার বেশি সব লেনদেনই নজরদারির আওতায় আসবে। কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লক্ষের টাকা বেশি তোলা হলে তা সেই জেলার রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে বলে সব ব্যাঙ্কের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আয়কর দফতর সূত্রের খবর, যাঁরা নিয়মিত আয়কর জমা দেন, যাঁদের প্যান কার্ড রয়েছে, তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, বাবা-মায়ের ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য জড়ো করা হয়েছে। ফলে, যে ব্যক্তিদের সম্পর্কে সন্দেহ করার মতো টাকা লেনদেনের খবর আসবে, তাঁদের ফোন নম্বর পেয়ে আড়ি পাতায় সমস্যা হবে না। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হানাও দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়ি বা দফতরে। বড় অঙ্কের টাকা পেলে তার হিসেব চাওয়া হবে। না পেলে আয়কর আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবারেই কলকাতায় এক রাজনৈতিক নেতার ছেলের বাড়িতে হানা দিয়েছেন আয়কর অফিসারেরা। তবে তা রুটিন তদন্তের জন্য বলেই আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

দেশের বিভিন্ন বড় শহরে বসে এর আগেও ফোনে আড়ি পেতেছে আয়কর দফতর। এক কর্তার কথায়, ‘‘সেটা নিয়মমাফিক, আমাদের অভিযানের জন্য। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়েও সেই ‘কল ইন্টারসেপশন’ ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু, এর আগে কখনও নির্বাচনের জন্য তা ব্যবহার করা হয়নি। এ বার হিসেব বহির্ভূত টাকার হদিস পেতে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে।’’

এই টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে মূল নজরদারি চালানো হচ্ছে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে। দিল্লি-সহ দেশের ২৫টি জায়গায় আয়কর দফতরের কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। ফোন, ফ্যাক্স, ই-মেল করে সেই কন্ট্রোল রুমে যে কেউ তথ্য দিতে পারবেন। এমনকি, কেউ চাইলে আয়কর দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করতে পারেন। কর্তাদের দাবি, কোন কেন্দ্র থেকে সেই ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে, তা চিহ্নিত করার ব্যবস্থা তাঁদের আছে।

কলকাতায় আয়কর দফতরের অ্যানেক্স ভবন থেকে এই নজরদারির কাজ শুরু হয়েছে। ঠিক হয়েছে, যেখান থেকে যা তথ্য পাওয়া যাবে, তা তৎক্ষণাৎ নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে জানানো হবে। তা ছাড়াও এক দিন অন্তর নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠাবে আয়কর দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন