রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিনেই আজ দ্বৈরথ মোদী-মমতার

বুধবার শিলিগুড়ি ও ব্রিগেডে মোদীর সভার পরেই কোচবিহারের দিনহাটায় মুখ্যমন্ত্রী তার ‘জবাব’ দেবেন বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বৈরথ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Advertisement

আজ, বুধবার শিলিগুড়ি ও ব্রিগেডে মোদীর সভার পরেই কোচবিহারের দিনহাটায় মুখ্যমন্ত্রী তার ‘জবাব’ দেবেন বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। মমতা নিজে অবশ্য এ দিন ‘জবাব’ দিতে সভা করার জল্পনা খারিজ করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কথার প্রতিক্রিয়া জানানোর থাকলে তো কলকাতায় বসেই দিতে পারতাম। আমি নিজস্ব নির্বাচনী কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছি।’’

তবে একই দিনে মোদী ও মমতার সভা ঘিরে রাজ্য জুড়ে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। মঙ্গলবার সেই দ্বৈরথের আবহ তৈরি করে মমতা নবান্নে বলেন, ‘‘বিজেপি কোনও ভাবেই আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। কোনও, ভুগোল, ইতিহাস বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই বিষয়ে আমি ১০০% নিশ্চিত।’’ অন্য দিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘বালাকোটে হানার পরে প্রমাণ চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মোদীজি নিশ্চয়ই তার জবাব দেবেন। তা ছাড়া, এ রাজ্যের সার্বিক আর্থিক দুর্দশা, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়া, বেতন বা চাকরি চাইতে গেলে শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ— এ সব নিয়েই তৃণমূলকে তিনি আক্রমণ করতে পারেন।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিনই আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বারে লড়াইটা মোদীর সঙ্গে মমতার। মাঝে আর কেউ নেই। তাঁর কথায়, যে দলই প্রতিবাদ করতে গিয়েছে, ইডি, সিবিআই দেখিয়ে ধমকে-চমকে বাড়িতে বসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু মমতা অন্য ধাতুর তৈরি।”

মোদীর প্রথম সভা শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে। নির্ধারিত সময় বেলা ১টা। ব্রিগেডে বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁর পৌঁছনোর কথা। দিনহাটায় মমতার সভা বিকেল চারটে নাগাদ।

ব্রিগেডে মোদীর সভার ব্যাপক আয়োজন চলছে। দিলীপবাবু নিজেই বলেছেন, ‘‘এ বারের সভায় জার্মান হ্যাঙার দিয়ে মাথা ঢাকা হবে। সেটা দেখতেও অনেকে আসবেন।’’

প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘লোক হবে না বুঝেই কোটি কোটি টাকা খরচ করে হ্যাঙার চাপাচ্ছে। যেন সিনেমা দেখব আমরা!’’ আর সিপিএম নেতা সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘ব্রিগেড ভরানোর ক্ষমতা ওদের নেই। উপর থেকে সেই ছবি যাতে তোলা না যায়, তাই এই কৌশল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন