প্রথম পরীক্ষায় পাশ নয় রাজ্যে আসা সব ইভিএম 

জনতার দরবারে পরীক্ষা দেওয়ার আগে উত্তীর্ণ হতে পারল না রাজ্যে আসা সব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। 

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ 

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

১ লক্ষ ১০ হাজার ৭০০ বিইউ ইউনিটের মধ্যে প্রায় ১১০০টি ফেল করেছে। প্রতীকী ছবি।

জনতার দরবারে পরীক্ষা দেওয়ার আগে উত্তীর্ণ হতে পারল না রাজ্যে আসা সব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)।

Advertisement

কয়েক মাস পরে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচন ‘এম-থ্রি’ ভার্সানের ইভিএম ব্যবহার হবে। সেই ইভিএমের ব্যালট ইউনিট (বিইউ) এবং কন্ট্রোল ইউনিট (সিইউ) ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে। সেগুলির প্রথম দফায় পরীক্ষার (ফার্স্ট লেভেল অব চেকিং বা এফএলসি) কাজ শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর, ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫০০ সিইউ ইউনিটের মধ্যে দেড় শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১৬০০টি প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ১ লক্ষ ১০ হাজার ৭০০ বিইউ ইউনিটের মধ্যে প্রায় ১১০০টি ফেল করেছে।

এহেন ফলাফলে খানিক ‘অস্বস্তি’ তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষা পর্বে যদি যন্ত্র গোলমাল করে, তবে ভোট পর্বে সমস্যা হবে না তো? এমন আশঙ্কাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। তাঁদের মতে, অনেক সময় দু-একটি ক্ষেত্রে এমন প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ে। ভোটের সময় যাতে এমন সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই তিন দফায় পরীক্ষা করা হয়। প্রথমে এফএলসি। এর পরে হবে কমিশনিং এবং সবার শেষে ভোটের দিন মক পোল। তিনটি পরীক্ষায় পাশ করা ইভিএমকেই ভোটের কাজে লাগানো হয়। ভোট পর্বে সসম্মানে উত্তীর্ণ হবে সব ইভিএম, আশা কমিশনের।

Advertisement

যে সব বিইউ এবং সিইউ উত্তীর্ণ হতে পারেনি, সেগুলি প্রস্তুতকারক সংস্থা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমি়টেডের (ইসিআইএল) কাছে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫০০ ‘ভোটার ভেরিফায়েব্‌ল পেপার অডিট ট্রেল’ (ভিভিপ্যাট) এসেছে। জেলা সদরগুলিতে সেগুলির পরীক্ষাও শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন