বক্তা: বালুরঘাটে অর্পিতা ঘোষের প্রচারে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরের বিশ্বাসপাড়া এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতার হয়ে প্রচারে সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু দলের অনুগত নাট্যকর্মী ছাড়া শহরের সংস্কৃতিমনস্ক একটা বড় অংশের মানুষ তাতে যোগ না হওয়ায় দলের মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বলে খবর।
এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রচারে আসেন ব্রাত্য। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পথসভা করেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বালুরঘাট শহরের বিশ্বাসপাড়ায় একটি ভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহরের নাট্যকর্মী ও সাংস্কৃতিমনস্ক নাগরিকদের উপস্থিত থাকতে আহ্বান জানান হয়। শাসক দলের পক্ষ থেকে কয়েকটি বিশেষ সাংস্কৃতিক দলের মাধ্যমে বালুরঘাটের নাট্য ও সাংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন মানুষদের কাছে ওই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য বার্তা পাঠান হয় বলে খবর। সেখানে নাটক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয় এবং অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু ভোটের মুখে প্রচার ছাড়া অন্য কি আলোচনা হবে, তা আঁচ করেই বালুরঘাটের একাংশের নাট্যব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতিপ্রবণ নাগরিকরা ওই সভায় যোগ দেননি বলে খবর।
বালুরঘাটের নাট্য ব্যক্তিত্ব জিষ্ণু নিয়োগীর দাবি, ‘‘ভোটের মুখে ওই সভায় নাটক সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে না। সেই কারণে আমি ও আমার মতো অনেকেই সেখানে যোগ দেননি।’’ বালুরঘাট শহরের এক প্রবীণ নাট্যকর্মী অজয়শঙ্কর ঘোষের কথায়, ‘‘এখানকার নাটক ও সাংস্কৃতির বিষয়ে ওঁর ভূমিকা কোনওদিন চোখে পড়েনি। এখানকার নাটক বা সংস্কৃতি বিষয়ে বিশেষ কাউকে কাউকে ডাকা হয়। এ ছাড়া এ দিনের আলোচনা সভায় নাটক বা সাংস্কৃতি আলোচনার নামে রাজনৈতিক প্রচারই হবে বলে আমাদের ধারণা।’’ বাসিন্দাদের একাংশ জানান, ২০১৪ সালের লোকসভার ভোটের আগে এ ভাবে সাংস্কৃতিক আলোচনার ডাক দেওয়া হয়। কলকাতা থেকে আসা নাট্য ব্যক্তিত্বরা অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে ভোটের প্রচার করেন। এ বারেও তা হবে মনে করেই সেখানে তাঁরা যাননি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের তরফে অবশ্য বলা হয়, শহরের অধিকাংশ সংস্কৃতিমনস্ক নাগরিক ব্রাত্য বসুর সভায় যোগ দিয়েছেন। কিছু নাট্যকর্মী কী বললেন, তার কোনও গুরুত্ব নেই।