Lok Sabha Election 2019

নুসরতের আত্মীয়বিয়োগ, সামলাচ্ছেন বালু

প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে শনিবার দলীয় কর্মীদের ভোটের পাঠ পাখি-পড়া পড়িয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়ই। বলেছেন, হাজারো প্ররোচনা আসতে পারে। কিন্তু কোনও ভাবেই মাথা গরম করা চলবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ০৩:০২
Share:

নুসরত।

শুক্রবার রাতে দিদা মারা গিয়েছেন। তাই শনিবার, ভোটের আগের দিন নিজের কেন্দ্রে যেতে পারেননি নুসরত জহান রুহি। তবে শোকের আবহেও বসিরহাটের সঙ্গে যে তাঁর যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল, এমন নয়। কলকাতায় বসেই কথা বলেছেন দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (বালু) সঙ্গে।

Advertisement

প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে শনিবার দলীয় কর্মীদের ভোটের পাঠ পাখি-পড়া পড়িয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়ই। বলেছেন, হাজারো প্ররোচনা আসতে পারে। কিন্তু কোনও ভাবেই মাথা গরম করা চলবে না। যে কোনও উত্তেজনা প্রশমন করে রবিবার সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়াই চ্যালেঞ্জ। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কোনও পরিস্থিতি ভোটকে বিঘ্নিত না করে, সে দিক সতর্ক থাকতে বলেছি।’’ কে কোন এলাকায় ভোটের দায়িত্বে থাকবেন, কোনও ঘটনা ঘটলে কী ভাবে দলীয় নেতা-কর্মীরা সামলাবেন, তার নকশাও জেলা তৃণমূল সভাপতি করে দিয়েছেন।

আজ, রবিবার সকালে বালিগঞ্জের মর্ডান হাইস্কুলে ভোট দেওয়ার কথা নুসরতের। সেখান থেকে সরাসরি বসিরহাট যাবেন তিনি। সেখান গিয়ে কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন, তা-ও এ দিন নুসরতকে বুঝিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। আজ, মূলত বসিরহাট এবং টাকির পুর এলাকাগুলিতে থাকবেন নুসরত। এ দিন তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষণ্ণ গলায় বলেন, ‘‘আমার দিদা মারা গিয়েছেন। আজ কথা বলব না।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিরোধীরাও অবশ্য বসিরহাটের মাটি কামড়ে রয়েছেন। এ দিনও তাঁরা রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ করেছেন। সিপিআই প্রার্থী পল্লব সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কর্মী-পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। যেখানে দরকার, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি হচ্ছে না।’’ কার্যত একই সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী কাজী আব্দুর রহিমের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ পঞ্চায়েতে ভোট দিতে পারেনি। গত দু’দিন বিভিন্ন জায়গায় ভয় দেখানো হচ্ছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আমাদের ভাল ফল হবে।’’ ভোটারেরা যাতে বুথমুখী হয়, দলীয় কর্মীদের তা নিশ্চিত করতে বলছেন বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। তাঁর মতে, মানুষের কাছে পৌঁছনো গিয়েছে, ঠিকঠাক প্রচার আর হাওয়া তোলা গিয়েছে। এ বার রবিবার মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে।

তবে তাঁদের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ মানতে নারাজ জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সংবাদমাধ্যমে জায়গা পেতেই বিরোধীরা এই ধরনের বাজে অভিযোগ করছেন।’’

রবিবার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাট কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১৬,৭৬,৬৮৩ ভোটার। রয়েছেন ১৬৭৪ জন সার্ভিস ভোটারও।

এই জনগণেরই মুখ চেয়ে আপাতত বসিরহাটের ‘চার’ তারকা!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন