স্ত্রীর সঙ্গে অর্ণব রায়। ছবি: সংগৃহীত
প্রায় পাঁচ দিন ধরে তাঁর খোঁজ নেই। কোথায় গেলেন ডব্লিউবিসিএস অফিসার অর্ণব রায়? উৎকণ্ঠা বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুরোধও করেছে ডব্লিউবিসিএস সংগঠন।
নদিয়ায় ইভিএম, ভিভিপ্যাট যন্ত্রের দায়িত্ব অর্ণববাবুর। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়ে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি (সিআইডি)-র সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিএস সংগঠনের নেতারা। কর্মিবর্গ ও প্রশাসন দফতরের কর্তাদের একাংশ জানান, অর্ণববাবুর বিরুদ্ধে কখনও কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি। ফলে উদ্বেগে আছেন তাঁরাও।
প্রশাসন ও পুলিশ মহলের অনেকের ধারণা, সম্ভবত আত্মগোপন করে রয়েছেন অর্ণববাবু। কোথাও কোনও গন্ডগোল হলে বা রহস্যজনক কিছু ঘটে থাকলে গোটা ঘটনার উপরে তার প্রতিফলন নিশ্চয়ই ঘটত। ‘‘ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সময় এবং পরে যুগ্ম বিডিও থাকাকালীন অর্ণববাবু যে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, প্রশাসনের কাছে সেই তথ্য এসেছে। এ বারেও তেমনই কিছু ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে,’’ বলেন এক কর্তা।
অর্ণববাবুর স্ত্রী অনীশা যশ কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী অবসাদে ভুগছিলেন না। ফলে তিনি কেন উধাও হবেন, তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না। ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ করে তাঁর স্বামীকে আটকে রাখার অভিযোগ এনেছেন অনীশাদেবী। ডব্লিউবিসিএস সংগঠনের নেতাদের একাংশের দাবি, সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যে-ভাবে বিষয়টি ছবি-সহ ছড়িয়ে পড়েছে, তার পরে অর্ণববাবুর পক্ষে আত্মগোপন করে থাকা খুব মুশকিল। তা ছাড়া, নির্বাচনে যে-কাজের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে রয়েছে, তা ছেড়ে এত দিন ধরে আত্মগোপন করে থাকাটাও পক্ষে ঝুঁকির। কারণ, এমনটা হয়ে থাকলে পরে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশ ও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্ণব-কাণ্ডের তদন্তে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে সিআইডি। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই রহস্যের কিনারা হবে।