ছবি সরাতে একটু সময় লাগবে, বলছে কমিশন

কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে মন্ত্রীদের ছবি সরানোর নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ক্যাবিনেট সচিব, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে তারা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

মুর্শিদাবাদে ফ্লাইং স্কোয়াডে এমনই ৭২টি জংলা রঙের গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র

কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে মন্ত্রীদের ছবি সরানোর নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ক্যাবিনেট সচিব, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে তারা।

Advertisement

রবিবার লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য জনপ্রতিনিধিদের ছবি সরানোর কাজ শুরুও হয়েছে। তবে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরানোর কাজে ঢিলেমি রয়েছে। এখনও বহু পেট্রল পাম্পে হাসিমুখে প্রধানমন্ত্রীর ছবি বহাল। সিইও দফতরের বক্তব্য, লোকসংখ্যা কম থাকায় কোথাও কোথাও হোর্ডিং সরানোর কাজে সময় লাগছে। বিশেষ করে পেট্রল পাম্পগুলি বেসরকারি সম্পত্তি হওয়ায় আরও সময় লাগছে। কোথায় কত হোর্ডিং নামানো হয়েছে, তার সংখ্যা দু’-এক দিন পর স্পষ্ট হবে বলেই মত সিইও দফতরের কর্তাদের।

কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রচারমূলক ছবি খুলে ফেলা বা কোনও গোলমাল বা সি-ভিজিল মারফত কোনও অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌঁছে যাবে ফ্লাইং স্কোয়াড। এ ক্ষেত্রে অভিনব পদক্ষেপ করছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। প্রত্যেকটি বিধানসভা এলাকায় তিনটি করে ফ্লাইং স্কোয়াড তৈরি করেছে তারা। ২২টি বিধানসভার জন্য ৬৬টি এই ধরনের স্কোয়াড রয়েছে। মোট ৭২টি জংলা রঙের গাড়ি ব্যবহার করছে তারা। জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন অফিসার পি উলাগানাথন বলেন, ‘‘এই ধরনের গাড়ি ভোটারদের মনোবল জোগাবে। যে সমস্ত অফিসার এই ফ্লাইং স্কোয়াডে থাকবেন, তাঁদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, আসানসোলে সরকারি প্রচারমূলক বা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত হোর্ডিং খুলে ফেলা হয়েছে। তবে হুগলিতে চুঁচুড়া স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি-সহ ‘মন কি বাত’-এর ব্যানার রয়েছে। বীরভূমের রামপুরহাটে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পের ফ্লেক্স লাগানো রয়েছে। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই ধরনের হোর্ডিং সরানো হচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, হাওড়ায় প্রশাসনের পাশাপাশি তাদের কর্মীরাও হোর্জিং সরানোর কাজ করছেন। শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রয়েছে। দ্রুত তা খুলে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন