প্রতীকী ছবি।
সহজ অঙ্ক। তবে গোল বাধছে সমাধান করতে গিয়েই!
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা আসনে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলের ভোটের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছিলেন মাহিনগরের বাম কৃষক নেতা সাজাহান সর্দার। তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম এবং বিজেপি—বালুরঘাটে চতুর্মুখী লড়াইয়ে ভোট কাটাকাটির ফায়দা শাসক তৃণমূলেরই হবে। এ কথা শুনেই পোড়খাওয়া ওই বাম শরিক আরএসপি নেতার বক্তব্য, ‘‘এবারে গতিপ্রকৃতি অন্য। বালুরঘাটে কংগ্রেস আলাদা করে প্রার্থী দিয়ে ভালই হয়েছে। কেননা, কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট হয়েও কোনও লাভ হত না। পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কংগ্রেসিদের বড় অংশ কোনওদিন বামফ্রন্টকে ভোট দেন না। জোট হলে সেই ভোট তৃণমূল ও বিজেপিতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবার সেটা হচ্ছে না। বরং সংখ্যালঘু ভোট তাঁদের বাম-সমর্থিত আরএসপি প্রার্থী রণেন বর্মণ অল্প হলেও পাবেন।’’ এবারে এই আসনের ভোটযুদ্ধে বামেদের অবস্থান ভাল বলে দাবি করেন আরএসপির রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী।
জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অঞ্জন চৌধুরীর দাবি, গত ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থীর পক্ষে ভোট পড়ে প্রায় ৮১ হাজার। সেবার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর পিডিসিআই দলের হয়ে প্রার্থী আব্দুস সাদেক সরকার প্রায় ১১ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এবারে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন আব্দুস। ফলে কংগ্রেস এখানে অবহেলার জায়গায় নেই।
বিজেপির জেলা নেতা নীলাঞ্জন রায় বলেন, ‘‘এবারে জেলায় নতুন ২৪ হাজার ভোটারের অধিকাংশ তাদের দিকে ঝুঁকবেন।’’ কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়ায় আখেরে তাদের লাভ হল বলে নীলাঞ্জনের দাবি।