—ফাইল চিত্র।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে না। তবে কোচবিহারের একটি বুথে তা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে কোচবিহারের ৬৩টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান বাম প্রতিনিধিরা। বিজেপির তরফে কোচবিহারের ২৯৭টি বুথে ফের ভোটের দাবি জানানো হয়েছে। দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায় জানান, কোচবিহারে ২৯৭টি, আলিপুরদুয়ারে ৪২টি বুথে ফের ভোট চেয়েছেন তাঁরা।
রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিং এবং হিংসার অভিযোগ তুলে এ দিন নির্বাচন সদনের দ্বারস্থ হন নির্মলা সীতারামন, মুখতার আব্বাস নকভি। বিজেপির অভিযোগ, সব বুথে আধাসেনা না-থাকায় তাদের সমর্থকদের বাধা দিয়েছে তৃণমূল। পরে নির্মলা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার ১১০০টি বুথে কোনও আধাসেনা ছিলেন না। তাই প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’জন জওয়ান মোতায়েন করার দাবি জানানো হয়েছে। ২৯৭টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দল।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিইও অফিস সূত্রের খবর, শীতলখুচির ১৮১ নম্বর বুথে দীর্ঘ সময় ভোট বন্ধ ছিল। সেখানে পুনর্নির্বাচন হতে পারে। কারণ, ওই বুথে ‘মক পোল’-এর ভোট না-মুছেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানান, জেলাশাসক ও পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে স্ক্রুটিনি হয়েছে। তার রিপোর্ট যাবে নির্বাচন কমিশনে। পুনর্নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন সদন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ভোটের দিন দিনহাটায় ইভিএম ভাঙচুর হয়। শীতলখুচির ২৭২ নম্বর বুথে বহিরাগতেরা ঢুকে পড়েন। ওই দু’টি ঘটনায় দুই প্রিসাইডিং অফিসার শো-কজ করা হয়েছিল। দু’জনেই ক্ষমা চেয়েছেন। দুই প্রিসাইডিং অফিসারের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে কমিশন। কোচবিহারে ৮৩.৮৮ শতাংশ এবং আলিপুরদুয়ারে ৮৩.৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। দু’টি কেন্দ্রেই তৃতীয় লিঙ্গের এক জন করে ভোটার ভোট দেন।