কেন্দ্রে শরিক, জেলায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী শিবসেনার

কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের শিবসেনা প্রার্থী কেনারাম মিশ্রও দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৩৯
Share:

তমলুক ও কাঁথি কেন্দ্রে প্রার্থী দিল শিব সেনা।

তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিল শিবসেনা।

Advertisement

জাতীয় রাজনীতিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের শরিক শিবসেনা এ রাজ্যে ১৯টি লোকসভা কেন্দ্রে আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়ে লড়াই করছে বলে জানান দলের রাজ্য সভাপতি অশোক সরকার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন শতদল মেট্যা ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন কেনারাম মিশ্র। হলদিয়ার চৈতন্যপুর এলাকার বাড়বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা শতদল স্নাতকোত্তর পাশ। পেশায় একটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলের অতিথি শিক্ষক। বছর তিরিশের শতদল আগে বিজেপি করতেন। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হয়ে লড়াই করে হেরে যান। আট মাস আগে বিজেপি ছেড়ে শিবসেনা দলে যোগ দেওয়া শতদল বর্তমানে দলের জেলা সভাপতি। শতদল বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছি। বিজেপি দলের পুরনো কর্মীদের মর্যাদা দিচ্ছে না। অন্যদল থেকে আসা লোকেরাই এখন দলের নেতা হয়ে উঠেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে দল ছেড়েছি। নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের পাশপাশি বিজেপির এই সব কার্যকলাপও তুলে ধরব। আগামী রবিবার থেকে প্রচার শুরু করব।’’

কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের শিবসেনা প্রার্থী কেনারাম মিশ্রও দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করেছেন। ৬২ বছরের কেনারামবাবু কাঁথির রাইপুর পশ্চিমবাড় পঞ্চায়েতের নামাল গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯০ সাল থেকে বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত এবং দলের জেলা সম্পাদকও ছিলেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিজেপি ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দেন। নিজের পুরনো দল নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাঁরও। কেনারামবাবু বলেন, ‘‘আমরা বিজেপির দীর্ঘদিনের কর্মী। কিন্তু দলে আমাদের মর্যাদা দেওয়ার বদলে ক্রমাগত অপমান করা হচ্ছিল। তাই বিজেপি ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়েছি।’’

Advertisement

কেন্দ্রে শরিক দল আর এ রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন?

শিবসেনার রাজ্য সভাপতি অশোক সরকার বলেন, ‘‘বাঙালির আত্মসম্মান ও হিন্দুত্বের জন্য আমাদের লড়াই। আমরা বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন