general-election-2019-vote-colour

পোস্টারে বেইমান কে, তুঙ্গে জল্পনা

লোকসভা ভোটের মুখে ‘বেইমান’ পোস্টার নিয়ে কান্দি শহরে দিনভর চলছে একই আলোচনা। 

Advertisement

কৌশিক সাহা

কান্দি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩২
Share:

এই পোস্টারেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

নিছকই সাদামাটা একটা পোস্টার। আর সেই পোস্টারকে ঘিরেই তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে কান্দিতে। সেই সঙ্গে প্রশ্নের কোনও শেষ নেই।

Advertisement

—এই পোস্টার কে সাঁটিয়েছে?

— কেনই বা সাঁটিয়েছে?

Advertisement

—ছবিটা কার হতে পারে?

—ভোটের আগে এই পোস্টারের মানে কী?

প্রশ্নগুলো খুব সহজ এবং স্বাভাবিক। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর মিলছে না।

গত কয়েক দিন ধরেই কান্দি শহর জুড়ে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে কেউ বা কারা। সেখানে দেখা যাচ্ছে সাদা কাগজের উপরে কালো রঙে আঁকা এক জন মানুষের অবয়ব। তার পাশে বড় করে লেখা ‘বেইমান?’। নীচে ছোট করে লেখা—সৌজন্যে কান্দির বাসিন্দারা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পোস্টারে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম লেখা নেই। কান্দির কারাই বা সেটা করেছে তারও উল্লেখ নেই।

কিন্তু লোকসভা ভোটের মুখে এমন ‘বেইমান’ পোস্টার নিয়ে কান্দি শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে হাসপাতাল মোড়, জেমো বাজার থেকে দোহালিয়া বাইপাস ও কান্দি পুরসভার সামনে দিনভর চলছে ওই একই আলোচনা।

এমনকি কান্দি শহর ছাড়িয়ে ওই পোস্টারের খবর পৌঁছে গিয়েছে কান্দির গ্রামাঞ্চল-সহ বড়ঞা ও ভরতপুর এলাকাতেও। কেউ পুরসভার সামনে চায়ের দোকানে আড্ডায় বলছেন, ‘‘এ বাপু নকশালদেরই কাজ!’’ কেউ আবার তা উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, ‘‘ধুস, নকশালদের আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই, এ সব করে বেড়াবে। এ কাজ কংগ্রেসের ছাড়া আর কারও নয়।’’

কংগ্রেস কেন? তাঁদের যুক্তি, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিডের দীর্ঘ দিনের দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। তা ভুলে ডেভিডের তৃণমূলে চলে যাওয়াটা বেইমানি নয় তো কী!

অনেক জায়গায় আবার পোস্টার ছিঁড়েও দেওয়া হচ্ছে। কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি বনু খান বলছেন, “কান্দির বাসিন্দাদের পক্ষে ওই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। কান্দির বাসিন্দারাই বুঝতে পারছেন, কে বেইমান। যারা বেইমান তারা ওই পোস্টার ছিঁড়েও দিচ্ছে।”

কান্দি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলছেন, “ওই পোস্টারের কোন বৈধতা নেই। তবে কান্দির মানুষ আসলে অধীরকেই বেইমান বলতে চেয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন