‘ক্ষোভ’ মেটাতে অর্পিতাকে নিয়ে সভা শুভেন্দুর

২ এপ্রিল ইটাহার হাইস্কুল মাঠে বালুরঘাট কেন্দ্রের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ তথা ওই কেন্দ্রের এ বারের প্রার্থী অর্পিতার সমর্থনে সভা করার সম্মতি দিয়েছেন শুভেন্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইটাহার শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:১১
Share:

পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।—ফাইল চিত্র

২০১৭ সালে ইটাহারে বন্যার সময়ে তিনি এলাকায় গিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াননি বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। তাঁদের সেই ‘ক্ষোভের’ কথা জানতে পেরে তাই কিছুদিন আগে ইটাহারের বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা বালুরঘাট কেন্দ্রে অর্পিতার বদলে অন্য কাউকে দাঁড় করানোর দাবি তুলেছিলেন। শেষমেশ অবশ্য প্রার্থী হন অর্পিতা। ইতিমধ্যে আবার বাসিন্দাদের সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে

Advertisement

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে আসরে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কাল, ২ এপ্রিল ইটাহার হাইস্কুল মাঠে বালুরঘাট কেন্দ্রের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ তথা ওই কেন্দ্রের এ বারের প্রার্থী অর্পিতার সমর্থনে সভা করার সম্মতি দিয়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূলের উদ্যোগে ওই সভার মঞ্চ তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।

জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের অবশ্য দাবি, নির্বাচনে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে বিরোধীরা অপপ্রচার শুরু করেছে। ২০১৭-এ বন্যায় তৃণমূল ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। দল ও রাজ্যের তরফে ত্রাণ ও সরকারি ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে বিরোধীরা গুরুত্বহীন কথা বলছে। ইটাহারের বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের তৃণমূলের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেনের দাবি, আগামী ২ এপ্রিল দলীয় প্রার্থী অর্পিতাকে নিয়েই তাঁর সমর্থনে শুভেন্দু নির্বাচনী জনসভা করবেন। অর্পিতাকে নিয়ে দলের কোনও নেতা ও কর্মী বা বাসিন্দাদের ভুল ধারণা থাকলে, শুভেন্দু তা দূর করে দেবেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৭-র অগস্টে বন্যায় ইটাহার ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যার জেরে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার কাঁচা বাড়ি ভেঙে যায়। নষ্ট হয় ফসল। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ পৃথক ভাবে হলেও দাবি করেছেন, বন্যার জেরে ইটাহার ব্লকের হাজার হাজার মানুষ ঘরদোর ও জমি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। অথচ সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও অর্পিতা ইটাহারে গিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাহস দেননি। লোকসভা নির্বাচনে বাসিন্দারা এর জবাব দেবেন।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের বক্তব্য, ‘‘ইটাহারে বন্যার সময়ে এলাকার সাংসদ অর্পিতাকে একদিনের জন্যেও বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে দুর্গতদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে দেখা যায়নি। নির্বাচনী প্রচারে বামফ্রন্টের তরফে ইটাহারের বাসিন্দাদের সে কথাই বোঝানো হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন