শিক্ষকেরা কি দায়িত্ব এড়াচ্ছেন, বিতর্ক তুঙ্গে

কেন্দ্রীয় বাহিনী না-থাকলে যে-সব শিক্ষক ভোটের কাজে যেতে চাইছেন না, শিক্ষা শিবিরের একাংশ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার অন্য একটি অংশ মনে করছেন, ভোটের কাজ শিক্ষকদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৩৯
Share:

স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোটের কাজে যেতে চাইছেন, এমন শিক্ষকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। বরং ওই কাজ থেকে অব্যাহতিই চাইছেন অনেকে। বেশির ভাগ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া তাঁরা নির্বাচনের কাজে যেতে রাজি নন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক।

Advertisement

কেন্দ্রীয় বাহিনী না-থাকলে যে-সব শিক্ষক ভোটের কাজে যেতে চাইছেন না, শিক্ষা শিবিরের একাংশ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার অন্য একটি অংশ মনে করছেন, ভোটের কাজ শিক্ষকদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। প্রশাসন তো নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী না-থাকলে ওই কাজে যেতে অস্বীকার করা ঠিক নয়। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দোহাই দিয়ে শিক্ষকেরা কি আসলে ভোটের মতো গণযজ্ঞে তাঁদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছেন?

নির্বাচন কমিশনের অফিসারদের একাংশ জানান, ভোট হচ্ছে সারা দেশে। তাই প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া কার্যত সম্ভব হবে না। কিন্তু লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি লেখার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যমেও রীতিমতো সরব হয়েছে শিক্ষক মহল। তৈরি

Advertisement

হয়েছে বিভিন্ন ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেখানে শিক্ষকদের সংগঠিত করে দাবি জোরদার করা হচ্ছে।

শিক্ষকদের তৈরি একটি ফেসবুক গ্রুপে সম্প্রতি জানতে চাওয়া হয়েছিল, কারা কারা কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোটের কাজে যেতে চান আর কারা চান না। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা ভোটের কাজে আমাদের দায়িত্ব মোটেই এড়িয়ে যেতে চাইছি না। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার আশ্বাস না-দিলে আমাদের জীবন সংশয় হতে পারে। সেই সঙ্গে মর্যাদাহানিরও আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছি আমরা।’’

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি নামে অন্য একটি শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারও বলেন, ‘‘আমরাও ভোটের কাজে শিক্ষকদের নিরাপত্তা চাই। আমরা কেউই চাই না, কোনও শিক্ষকের পরিণাম রাজকুমার রায়ের মতো হোক।’’

শিক্ষক রাজকুমার রায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন। ভোটের দিন তিনি রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন। তিনি পরের দিন রেললাইনের উপর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এখনও সেই মৃত্যুরহস্যের সমাধান হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন