ভোট কেড়েছে প্রাণ, তাই ভোট থেকে দূরে

কৃষ্ণপদের মৃত্যুর পরে এক বছর কেটে গিয়েছে এক বছর। কোনও সাহায্য মেলেনি।

Advertisement

কল্লোল প্রামাণিক

বেতাই শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঠিক এক বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সামনে দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল কৃষ্ণপদের। সে শোক আজও ভোলেননি তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। সোমবার ভোট দিতে যাননি ওঁরা।

Advertisement

কৃষ্ণপদের মৃত্যুর পরে এক বছর কেটে গিয়েছে এক বছর। কোনও সাহায্য মেলেনি। অভিমানে লোকসভা ভোট থেকে সরে থাকলেন তেহট্টের বেতাই দক্ষিণ জিতপুর কলোনির বাসিন্দা কৃষ্ণপদ সরকারের পরিবার।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কৃষ্ণপদ পরের জমিতে চাষ ও দিনমজুরি করে সংসার টানতেন। দুই মেয়ে কল্যাণী মণ্ডল ও প্রার্থনা মণ্ডলের বিয়ে দিয়েছিলেন। স্থানীয় বেতাই কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর একমাত্র ছেলেকে কলকাতায় রেখে পড়াশোনা করানোর জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। গত বছর ভোটের দিন মাঠে কাজে যাবেন বলে সকাল-সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ। বাড়ি থেকে একশো মিটার দূরের বুথে গিয়ে লাইন দেন তিনি। পাড়ায় ঝামেলা হচ্ছে শুনে বাড়ি ফিরতে যান। সে সময়ে রাজনৈতিক দুই দলের গন্ডগোলের মাঝে পড়েন। বাঁশের আঘাত এসে পড়ে তাঁর মাথায়। গুরুতর জখম অবস্থায় কৃষ্ণপদকে প্রথমে তেহট্ট ও পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও মৃত্যু হয়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সোমবার কৃষ্ণপদের বাড়িতে ভোটের প্রসঙ্গে তুলতেই কেঁদে ফেলেন কৃষ্ণপদের স্ত্রী গীতা সরকার। বলেন, ‘‘আমরা শাসকদলেরই সমর্থক ছিলাম। উনি মারা যাবার পর এলাকার নেতারা আর্থিক সাহায্য ও ছেলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।’’ যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘কৃষ্ণপদ সরকারের ছেলের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সে যোগও দিয়েছে।’’ মৃতের ছেলে প্রকাশ সরকার যদিও বলছেন, “এখনও কাজ পাইনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন