মমতা দেশের বাঘিনি: চন্দ্রবাবু

বুধবারই রাজ্যে প্রচারে এসেছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। লালগড়ের সভায় তিনি বলেন, ‘‘দিদি দেশের বাঘিনি হতে চলেছেন। তাঁর হাতেই দেশের ক্ষমতা থাকবে। আমি কথা দিচ্ছি, ২৩ মে-র পরে দিল্লিতে যে অ-বিজেপি সরকার হবে সেখানে বড় ভূমিকা নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ০৫:৫০
Share:

বুধবার লালগড়ে সভায় চন্দ্রবাবু নায়ডু। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। খড়গপুরে সভামঞ্চের নীচে মমতার সঙ্গে তাঁর সংক্ষিপ্ত বৈঠক হওয়ার কথা।

Advertisement

বুধবারই রাজ্যে প্রচারে এসেছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। লালগড়ের সভায় তিনি বলেন, ‘‘দিদি দেশের বাঘিনি হতে চলেছেন। তাঁর হাতেই দেশের ক্ষমতা থাকবে। আমি কথা দিচ্ছি, ২৩ মে-র পরে দিল্লিতে যে অ-বিজেপি সরকার হবে সেখানে বড় ভূমিকা নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ তবে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি মেনে নেবেন কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। আগেই অবশ্য তিনি বলেছিলেন, রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে তাঁর আপত্তি নেই।

মমতাও বিভিন্ন সভায় ‘বাংলার নেতৃত্বে দিল্লিতে সরকার হবে’ বললেও প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে মুখ খুলছেন না। বরং বলছেন, বিরোধী সরকার তৈরির সময় এলে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।

Advertisement

বুধবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেছেন, ‘‘এখন পাখির চোখ বিজেপি-কে হারানো।’’

এ দিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল অবশ্য জানিয়েছেন, দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিলে রাহুলকে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি নেই। যদিও রাজধানীর ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি আম আদমি পার্টির। ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনও সরাসরি রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাওয়ার ঘোষণা করেছেন আগেই।

এই পরিস্থিতিতে এ দিন বাংলায় আসার আগে দিল্লিতে রাহুলের সঙ্গে দেখা করে চন্দ্রবাবু বলেন, তাঁর ইচ্ছা ১৯ মে নির্বাচন শেষ হওয়ার দু’দিনের মধ্যে বৈঠকে বসুক বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। দেখা করা হোক রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও। কংগ্রেসও এতে অনাগ্রহী নয়।

কেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার উদ্যোগ? কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস সব থেকে বড় দল হলেও বিজেপি জোড়াতালি দিয়ে সরকার গড়ে নিয়েছে। বিজেপি কম আসন পেলেও দিল্লিতে সরকার গড়ার জন্য রাষ্ট্রপতি যাতে তাদের আগে আমন্ত্রণ না জানান সে ব্যাপারে আর্জি জানিয়ে রাখতে চাইছেন চন্দ্রবাবুরা।

তবে সূত্রের খবর, ফল প্রকাশের আগেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে উৎসাহী নন মমতা। যদিও ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি তৈরির বিষয়ে তিনি আশাবাদী। মায়াবতীও আগেভাগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহ দেখাননি বলেই খবর।

এই পরিস্থিতিতে আজ মমতা-চন্দ্রবাবু বৈঠক জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

প্রাক নির্বাচন পর্বে তৃণমূলনেত্রীর উদ্যোগেই দেশের একাধিক বিজেপি বিরোধী দলকে একত্র করে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলা হয়েছিল। যার প্রথম সভা হয়েছিল কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড মাঠে। সেখানে এসেছিলেন চন্দ্রবাবুও। পরে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সে রাজ্যে প্রচার করে এসেছেন মমতা। তখনই বাংলার তেলুগু ভোটারদের কথা মাথায় রেখে চন্দ্রবাবুকে রাজ্যে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন মমতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন