রবিবাসরীয় প্রচারে: কুমারগঞ্জ ও পতিরামে কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
তৃতীয় দফার ভোটের দিন ক্রমশ এগিয়ে এলেও এখনও কর্মী-বৈঠকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রও অর্পিতার সভায় গিয়ে বিরূপ কর্মীদের মান ভাঙাতে তৎপরতা বাড়িয়েছেন। রবিবার বিপ্লবকে নিয়ে অর্পিতা কুমারগঞ্জের গোপালগঞ্জে বৈঠক করেন। বালুরঘাট শহরের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতেও শাসক শিবিরে একাধিক কর্মী বৈঠক হচ্ছে।
শনিবার রাতে বালুরঘাটের বিদায়ী পুরপ্রধান ও কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে অর্পিতা প্রত্যেককে ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিয়ে লিড বাড়ানোয় জোর দিয়েছেন। রবিবার রাতে চকভৃগু এলাকায় কর্মী বৈঠক করে দেওয়াল লিখন এবং বুথস্তরে প্রচার বাড়াতে বলেছেন।
দল সূত্রের খবর, গত বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত ভোটের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে শাসক দল দেখেছে বালুরঘাট শহরে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক ক্রমশ কমছে। কেবল শহরই নয়, বালুরঘাট ব্লকের ১১টি অঞ্চলের মধ্যে ডাঙা, চকভৃগু, বোয়ালদার পতিরাম, গোপালবাটী-সহ ৮টি অঞ্চলে পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি শক্তি বাড়িয়েছে। ওই অঞ্চলগুলোর অধিকাংশই তপনের বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদার বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীদের একাংশকে বোঝাতেই বিভিন্ন এলাকায় অর্পিতাকে নিয়ে লাগাতার কর্মী বৈঠক করতে হচ্ছে জেলা নেৃত্বত্বকে। ফলে এখনও রাস্তায় নেমে প্রচার শুরু করা যাচ্ছে না। এ দিকে, দেরিতে শুরু করেও হাট-বাজারে ঢুকে সরাসরি ভোটারদের মধ্যে প্রচারে নেমে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। এ দিন রবিবাসরীয় প্রচারেও সুকান্ত বালুরঘাটের বোল্লা থেকে কুশমণ্ডি ব্লকের একাধিক হাটে প্রচার করেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা সদর বালুরঘাটে ২৫টি ওয়ার্ডে সত্তর হাজারের উপরে ভোটার রয়েছেন। ২০১৩ সালের পুরভোটে শহরের বামেদের ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের অনুকূলে নিয়ে তৃণমূল পুরবোর্ড দখল করে। কিন্তু ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী শহরে প্রায় দু’হাজার ভোটে পিছিয়ে যান। বালুরঘাট বিধানসভা আসনটি জেতেন আরএসপি প্রার্থী বিশ্বনাথ চৌধুরী।
এ বারে লোকসভা ভোটে বামেদের অনুকূলে থাকা ভোট এবং বিজেপির উত্থানে বালুরঘাট শহর সহ বিধানসভা এলাকার ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে স্বভাবতই চিন্তার ভাঁজ তৃণমূল শিবিরে। তাই অন্য জায়গায় প্রচারের পাশাপাশি এই অঞ্চলে ভোট ধরে রাখতে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে কর্মী বৈঠকেই তৃণমূল আটকে রয়েছে বলে দল সূত্রে জানা গিয়েছে।