শিশির অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভার নির্বাচন ঘোষণা থেকে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা, প্রচার পর্ব থেকে ভোটগ্রহণ শেষ। ভোটযুদ্ধে নামা শাসকদল তৃণমূল, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি-সহ যুযুধান বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা এখন নেমে পড়েছে নিজের নিজের কেন্দ্রে ফলের চুলচেরা বিশ্লেষণে।
এবার ভোটপ্রচারে অন্যতম দিক ছিল পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা। তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে জোড়া সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসেছেন দলের হেভিওয়েট রাজ্য নেতা ও তারকারা। বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে হলদিয়ায় জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুযুধান দুই শিবিরের বাক-যুদ্ধে ভোটের লড়াই জমে উঠেছিল। জেলার তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে রবিবার ভোটগ্রহণ হয়েছে। ২৩মে ভোট গণনার আগে জনগণের রায় আপাতত ‘স্ট্রং রুমে’ বন্দি। ভোটের ফল নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে কর্মী -সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ তুঙ্গে। প্রার্থীদের হয়ে ভোট পর্ব পরিচালনার পর এ বার ফল নিয়ে শাসক-বিরোধী দাবি-পাল্টা দাবি শুরু হয়ে গিয়েছে।
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী এবং কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী শিশির অধিকারী নিজেদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করছেন। তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশিরবাবুর দাবি, ‘‘দুই লোকসভা কেন্দ্রেই খুব ভাল ভোট হয়েছে। দু’টিতেই আমরা জিতব, জয়ের ব্যবধানও গতবারের চেয়ে ভাল হবে।’’ বসে নেই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর এবং কাঁথি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস সামন্তও। দুই প্রার্থীর জয় নিয়ে আশাবাদী জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দলের তমলুক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাসের কথায়, ‘‘তমলুক লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে হলদিয়া ও নন্দীগ্রাম এলাকায় অনেক বুথে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকায় তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। ওই দুই এলাকায় ফল খারাপ হলেও সামগ্রিকভাবে আমাদের প্রার্থী জিতবেন।’’ কাঁথি জেলা বিজেপি সভাপতি তপন মাইতির কথায়, ‘‘খেজুরি, পটাশপুর, ভূপতিনগর, ভগবানপুর এলাকার কিছু বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। বাকি সব জায়গায় নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। আমাদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত।’’
তমলুক কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি ও কাঁথি কেন্দ্রের প্রার্থী পরিতোষ পট্টনায়েক, দুজনেই দলের যুব নেতা। দুজনেই এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তায় হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের অনেক বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিয়েছে । তবে মানুষের রায় তৃণমূলের পক্ষে যাবে না এটা নিশ্চিত। আমাদের ভোট বাড়বে। জয় নিয়ে আশাবাদীআমরা।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রথম থেকে তাঁকে নিয়ে দলে আপতি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লক্ষ্মণ শেঠ দশ বছর পরে লোকসভা ভোটের ময়দানে নামেন। কাঁথি কেন্দ্রে দলের প্রার্থী দীপক দাস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মানিক ভৌমিকের স্বীকারোক্তি, ‘‘হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, খেজুরির ভোটে তৃণমূলের যে ভাবে সন্ত্রাস করেছে, তাতে মানুষের রায়ের প্রতিফলন ঘটবে না। তাই আমাদের প্রার্থীরা জিতবে দৃঢ়তার সঙ্গে বলা যাচ্ছে না । তবে গত লোকসভার চেয়ে ফল ভাল হবে।’’