অর্জুন সিংহ।—ফাইল চিত্র।
চতুর্থ দফার ভোটে বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করেছিল নির্বাচন কমিশন। এ বার পঞ্চম দফার ভোটে ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহকে নিয়ন্ত্রণ করার দাবি তুলল তৃণমূল। বুধবার কমিশনের কাছে এই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়। তাপসবাবু মুখে না-বললেও সূত্রের খবর, তৃণমূলের অভিযোগপত্রে অর্জুনকে নজরবন্দি করার দাবিই করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ব্যারাকপুরের ব্যাপক গোলমাল হয়। তাকে কেন্দ্র করে এ দিন কমিশনে নালিশ জানায় বিজেপি এবং তৃণমূল দু’পক্ষই। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরে গিয়ে প্রথমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় বিজেপি। বিকেলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
অভিযোগে বিজেপি প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ব্যারাকপুরে ওই দিনের গোলমালের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের সিইও-র উপরে দলের ভরসা না-থাকায় তাঁরা রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান।
বিকেলে আইনজীবী নিয়ে সিইও দফতরে যান তাপসবাবু। গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি-কে দায়ী করে তিনি জানান, বিজেপি প্রার্থী ব্যারাকপুরে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করছেন। ভোটের সময় বিজেপি ফের সেই চেষ্টা করতে পারে। অর্জুনকে যে-ভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব, সেই পদক্ষেপ করার জন্য কমিশনকে অনুরোধ করেন তিনি। সব পক্ষের অভিযোগ শুনে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। গোটা ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে তারা।
বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এ দিন জানান, ব্যারাকপুরের ভোট শান্তিপূর্ণ রাখাই কমিশনের চ্যালেঞ্জ। সর্বত্রই সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা করার, তিনি তা করবেন। চতুর্থ দফার ভোটে বীরভূমের দুবরাজপুরে গুলির ঘটনা সম্পর্কে বিবেকের ব্যাখ্যা, কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিযেছিল। তবে তার তদন্ত চলছে।
ডায়মন্ড হারবারে দলীয় প্রার্থী ফুয়াদ হালিমের উপরে আক্রমণের প্রেক্ষিতে এ দিন কমিশনে ফের অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। দলের অন্য প্রার্থীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে সেই ‘তথ্য’ কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছে তারা। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে।
বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন ‘বাঘিনী’ ছবি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল গত মঙ্গলবার। লিখিত ভাবে মান্যতা জানাতে প্রযোজককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিন ছবিটির প্রযোজক প্রডিউসার পিঙ্কি পাল সিইও দফতরে জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে ছবিটি মুক্তি পাবে।
লোকসভার সঙ্গে যে-সব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে, সেখানে আঙুলে কালি লাগানোর পদ্ধতি নিয়ে পৃথক নির্দেশিকা দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে বাঁ হাতের তর্জনীতে এবং বিধানসভা উপনির্বাচনের সময় বাঁ হাতের মধ্যমায় কালি লাগাতে হবে।