এত পদ্ম কেন, প্রশ্ন বিপ্লবের তালুকেই

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৮টি ব্লকের মধ্যে ৭টি ব্লকে বিজেপি তাদের সাংগঠনিক কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবেই চালাত। ব্যতিক্রম ছিল গঙ্গারামপুর ব্লক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ১১:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

গত পঞ্চায়েত ভোটেও বুথ আগলাতে দলীয় কর্মী খুঁজে পায়নি বিজেপি। বালুরঘাট লোকসভার সেই গঙ্গারামপুরের তৃণমূল ঘাঁটিতে দলের প্রচার কার্যালয় খুলে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। ওই ব্লকের ভোটারদের পাশে পেতে প্রচারেও জোর বাড়িয়েছে তারা। খোদ তৃণমল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের খাসতালুকে গেরুয়া শিবিবের উত্থানে ভ্রূকুটি দেখা দিয়েছে শাসকের সংসারে।

Advertisement

কয়েক মাস আগেও পঞ্চায়েত ভোটে গঙ্গারামপুরে খাতা খুলতে পারেনি বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলের মতো বিজেপিও। এ বারে লোকসভা ভোটে বুথ কমিটি তৈরি করে শক্তি বাড়াতে বিজেপির তৎপরতা চোখে পড়ছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব স্বীকার করেন, কয়েক মাস আগেও গঙ্গারামপুরে দলীয় কার্যালয় খোলা ছিল অত্যন্ত চাপের। এখন যে প্রভাব বেড়েছে ওই কার্যালয়গুলি তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ বলে জানান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৮টি ব্লকের মধ্যে ৭টি ব্লকে বিজেপি তাদের সাংগঠনিক কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবেই চালাত। ব্যতিক্রম ছিল গঙ্গারামপুর ব্লক। সেখানে বামেরা তো নয়ই, তাদের কর্মীরাও প্রকাশ্যে মিছিল সভা করার সাহস পেতেন না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনই তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। কেননা গঙ্গারামপুরের ১১টি গ্রামপঞ্চায়েতই বিরোধী শূন্য। ১৮টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট গঙ্গারামপুর পুরসভার সবগুলি তৃণমূলের দখলে। এমনকি জেলাপরিষদ আসনগুলিও বিরোধী শূন্য। অথচ মাস কয়েকের মধ্যে সেই চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টেছে বলেই দাবি বিজেপি নেতৃত্বর। বিপ্লববাবু অবশ্য বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে জেলা জুড়ে বিজেপির একটা হাওয়া বইছে। তা থেকে কিছু মানুষ লাফাচ্ছেন। কিন্তু গঙ্গারামপুর বুথস্তরে বিজেপির সংগঠন নেই।’’ শুধু হাওয়ায় ভোট হয় না বলে দাবি তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement