আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই নেতাদের নিরাপত্তায় আরও গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল।
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করল রাজ্যের শাসক দল।
এ দিন দক্ষিণ কলকাতার বেদী ভবনে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতরের কর্তারা। সেই বৈঠকে তৃণমূলের তরফে ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী, বিধায়ক তাপস রায় এবং সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী।
কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি বিধানসভা কেন্দ্রের একটিমাত্র বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) সঙ্গে ভোটার ভেরিফায়েব্ল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট) মিলিয়ে দেখা হবে। যা তাঁরা কোনও ভাবেই মানবেন না বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘১০০ শতাংশ বুথে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট মেলাতে হবে।’’
পাশাপাশি, ভোট পর্বে নগদ অর্থের লেনদেনও নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, এক দিনে একটি লেনদেনে নগদে দশ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল। তা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে কি না, তা সংবাদপত্র এবং বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে প্রার্থী এবং দলকে। কমিশনের এই প্রস্তাব ‘আবাস্তব’ বলে আখ্যা দিয়ে পার্থবাবুর প্রশ্ন, ‘‘এই বিজ্ঞাপনের অর্থ কে জোগাবে!’’ পার্থবাবু বলেন, ‘‘কমিশনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আস্থা রেখেই বলছি, কমিশন তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’’
ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা করেছে সিপিএম-ও। তাদের প্রতিনিধি দলের মতে, কমিশনকে হলফনামা দিয়েই এ বিষয়ে জানানো হয়। তবে কেন আলাদা করে বিজ্ঞাপনে খরচ করতে হবে?