ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীকে লোকায়ুক্তের আওতার বাইরে রাখার লক্ষ্যে সংশোধনী বিল বিধানসভার পরিষদীয় সব ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বুধবার। কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, আগামী ২৪ জুলাই ওই বিল বিধানসভায় পেশ করে দু’ঘণ্টা আলোচনা হবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই বিধানসভার সব ঘর থেকে তুলে নেওয়া হল বিলের প্রতিলিপি। ওই বিল কবে আসবে বা আদৌ আসবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হল জটিলতা এবং বিভ্রান্তি।
বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ, শুক্রবার। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বুধবার বি এ কমিটির বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল লোকায়ুক্ত (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৮’ আসছে এই অধিবেশনে। তার পরেই লোকায়ুক্ত-সহ তিনটি বিল শাসক ও বিরোধীদের পরিষদীয় দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অথচ বৃহস্পতিবার সকালেই সব ঘর থেকে লোকায়ুক্ত এবং ফৌজদারি কার্যবিধি সংক্রান্ত একটি সংশোধনী বিলের প্রতিলিপি তুলে নেওয়া হয়! তাতেই প্রশ্ন উঠেছে বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, বিলটি আসবে। কিন্তু কবে আসবে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন মুখ্য সরকারি সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায় আলোচনায় বসেন। ওই বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বারদুয়েক তাঁদের কথা হয় বলে সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে পার্থবাবু দাবি করেন, বিলটি সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি ‘অবহিত’ নন। তবে তা ‘অসম্পূর্ণ’ রয়েছে বলেই তিনি জানেন।
এরই মধ্যে জল্পনা বাড়িয়ে সোমবার, ২৩ তারিখ অধিবেশন বসার আগে ফের বি এ কমিটি ডাকা হয়েছে। বিরোধীদের ধারণা, সেখানেই লোকায়ুক্ত বিল পেশের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হবে। বিধানসভার সচিব আবার পরিষদীয় এবং বিচারবিভাগীয় সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ৩১ তারিখ পর্যন্ত অধিবেশন চালানোর মতো কর্মসূচি বিধানসভার হাতে নেই। কিছু কর্মসূচি থাকলে সোমবার সকালের মধ্যে যেন বিধানসভাকে অবহিত করা হয়।
এমন বিভ্রান্তিতে ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির। পরিষদীয় মন্ত্রীর কাছে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় মন্ত্রী সুজন চক্রবর্তী জানতে চান, লোকায়ুক্ত বিল স্থগিত থাকছে কি না? নির্দিষ্ট কোনও উত্তর না পেয়ে দুই বিরোধী নেতাই বলেন, ‘‘প্রস্তুতি ছাড়াই বিল বিলির পিছনে ষড়যন্ত্র থাকলে তদন্ত হোক!’’