অবশেষে জামিন। —ফাইল চিত্র।
জামিন পেয়ে গেলেন মদন মিত্র। সারদা কাণ্ডের অন্যতম এই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন শুক্রবার মঞ্জুর করল আলিপুর আদালত। মন্ত্রী বা বিধায়ক পদে আর নেই তিনি। পদত্যাগ করেছেন নিজের পূর্বতন বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালন সমিতির শীর্ষ পদ থেকেও। এই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেই মদন মিত্রের কৌঁসুলিরা শুক্রবার আদালতে বললেন, আর কোনও অর্থেই প্রভাবশালী বলা যায় না তাঁকে। কার্যত সেই তত্ত্বেই সিলমোহর দিয়েছে আদালত। ৩০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে মদন মিত্রের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীকে আদালতের নির্দেশ, পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। আপাতত কলকাতার বাইরে কোথাও যাওয়া চলবে না। সপ্তাহে এক দিন করে সিবিআই দফতরে তাঁকে হাজিরাও দিতে হবে।
• মদন মিত্রকে আলিপুর আদালত জামিন দেওয়ায় অখুশি সিবিআই। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
• হাইকোর্টে মদন মিত্রের জামিন খারিজ করার আবেদন জানাবে সিবিআই।
• গত বছরও আলিপুর আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন মদন। কিন্তু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সে বারও জামিন খারিজ করিয়েছিল সিবিআই।
• মদন মিত্রের জামিনে খুশি তৃণমূল। আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের তরফ থেকে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে মদন মিত্রকে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূলের মহাসচিব।
• সিবিআই দফতরে সপ্তাহে এক দিন করে হাজিরা দিতে হবে মদন মিত্রকে।
• আপাতত কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। নির্দেশ আলিপুর আদালতের।
• ২২ মাস জেলে কাটাতে হল মদন মিত্রকে। অবেশেষ জামিন দিল আলিপুর আদালত।
• অন্যান্য দিনের মতো এ দিনের শুনানিতেও সিবিআই কৌঁসুলি মদন মিত্রের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন।
• তাঁর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তি জামিন পেলে সারদা কাণ্ডের তদন্ত প্রভাবিত হবে বলে সিবিআই কৌঁসুলি দাবি করেছিলেন।
• জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে মদন মিত্র সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করবেন, আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল সিবিআই।
• মদন মিত্রের কৌঁসুলি সিবিআই-এর এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেন।
• মদন মিত্র যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেন কিন্তু বিধায়ক পদে থেকে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি মন্ত্রী বা বিধায়ক, কোনও পদেই নেই।কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালন সমিতির প্রধান পদে তিনি ছিলেন। সেগুলি থেকেও সম্প্রতি মদন মিত্র পদত্যাগ করেছেন।
• সমস্ত পদ ছেড়ে দেওয়ার পর মদন মিত্রকে আর কী ভাবে প্রভাবশালী বলা যেতে পারে? প্রশ্ন তোলেন এই তৃণমূল নেতার কৌঁসুলি।
• সিবিআই তাঁকে আটকে রাখার জন্য বার বার প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করছে বলে মদনের আইনজীবী আলিপুর আদালতে মন্তব্য করেন।
• মদন মিত্রকে যে আর প্রভাবশালী বলা যায় না, সে কথা মেনে নিল আলিপুর আদালত।
• সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল মদন মিত্রকে। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
• দীর্ঘ দিন জেলে কাটানোর পর ৩১ অক্টোবর, ২০১৫-এ তাঁর জামিন হয়। আলিপুর আদালতই মদন মিত্রকে জামিন দিয়েছিল সে বারও।
• সিবিআই মদন মিত্রের জামিন খারিজের আর্জি নিয়ে তখন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট ফের তাঁর জামিন খারিজ করে দেয়। ফলে মদন মিত্রকে আবার জেলে পাঠানো হয়।
• মোট ৬২৯ দিন বন্দি থাকতে হল মদন মিত্রকে।
আরও পড়ুন: পাশে দল, পাশে মমতাও, বুঝিয়ে দিলেন পার্থ