মানবীবিদ্যা কেন্দ্র নিয়ে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

গত ৯ জুন এক নির্দেশিকায় ইউজিসি বলেছে, মানবীবিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের মতো প্রকল্পগুলি দ্বাদশ যোজনা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পের পরবর্তী ধাপ ঠিক হবে মূল্যায়নের ভিত্তিতে। সেই মূল্যায়ন কবে হবে, তা জানায়নি ইউজিসি। ফলে সেপ্টেম্বরের শেষে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় যাদবপুরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আট জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ১১:৩০
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ইউজিসি-র নির্দেশে সঙ্কটে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবীবিদ্যা চর্চা কেন্দ্র। খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার অস্তিত্ব বাঁচানোর আশ্বাস দিয়েছেন। শনিবার এ কথা জানিয়েছেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

Advertisement

গত ৯ জুন এক নির্দেশিকায় ইউজিসি বলেছে, মানবীবিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের মতো প্রকল্পগুলি দ্বাদশ যোজনা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পের পরবর্তী ধাপ ঠিক হবে মূল্যায়নের ভিত্তিতে। সেই মূল্যায়ন কবে হবে, তা জানায়নি ইউজিসি। ফলে সেপ্টেম্বরের শেষে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় যাদবপুরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আট জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এ ছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আরও কিছু কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাও একই আশঙ্কায় রয়েছেন।

ইউজিসি-র নির্দেশ বাতিলের দাবিতে শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কনভেনশনের ডাক দিয়েছিলেন পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবীবিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের গবেষক-অধ্যাপকেরা। সেখানে ঠিক হয়, রাজ্যের সবক’টি মানবীবিদ্যা চর্চা কেন্দ্র চালানোর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে।

Advertisement

পরে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় যাদবপুরের উপাচার্যের। সুরঞ্জনবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে নন-নেট ফেলোশিপ পাওয়া গবেষকদের আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেছেন, সে দৃষ্টিতেই এই সমস্যাটি দেখার জন্য তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে। উপাচার্যের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত জেনে খুবই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এবং এ নিয়ে প্রস্তাব দিতে বলেছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement