নন্দিনীকে শিল্পেই ফেরালেন মমতা

পরে সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয় নন্দিনীকে। সেই সময় তাঁকে উচ্চশিক্ষা দফতরের ডিসট্রিক্ট গেজেটিয়ারের সম্পাদক পদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে আগে কখনও কোনও আইএএস-কে বসানোই হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৩২
Share:

নন্দিনী চক্রবর্তী

রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর থেকে শিল্প দফতরের সচিব। মাঝখানে পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তীকে ফের শিল্পে ফিরিয়ে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সচিব বদলের যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে— নন্দিনীর মাথায় শিল্প দফতরের প্রধান সচিব পদে থাকবেন এস কিশোর। তাঁকে বিদ্যুৎ দফতর থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সন্ধ্যায় নন্দিনীদেবীর শিল্প দফতরে আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়। অনেকেই বিস্ময় চেপে রাখতে পারেননি। তাঁদের বক্তব্য, মমতা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছাড়াও তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের বিশেষ সচিব ছিলেন নন্দিনী। অচিরেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় অফিসারদের এক জন হয়ে ওঠেন তিনি।

পরে সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয় নন্দিনীকে। সেই সময় তাঁকে উচ্চশিক্ষা দফতরের ডিসট্রিক্ট গেজেটিয়ারের সম্পাদক পদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে আগে কখনও কোনও আইএএস-কে বসানোই হয়নি। সেখান থেকে যথাক্রমে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর, প্রেসিডেন্সি বিভাগের কমিশনার, বায়োটেকনলজি দফতর এবং সব শেষে উদ্যানপালন দফতরের সচিব পদে বসানো হয় নন্দিনীকে। এ বার তিনি শিল্প সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্বও পেলেন সঙ্গে। নবান্নের এক শীর্ষকর্তা অবশ্য জানান, অন্য দফতরগুলি কম গুরুত্বপূর্ণ হলেও নন্দিনীর মাথায় মন্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। কিন্তু শিল্পসচিব হলেও তাঁকে রিপোর্ট করতে হবে প্রধান সচিবকে। তবে ২০১৮ সালের বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নন্দিনী অবশ্য এ সব নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।

Advertisement

নন্দিনীর শিল্প দফতরে আসা যদি প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন তৈরি করে, তা হলে নবান্নের অন্দরে আলোড়ন তৈরি হয়েছে শিল্পসচিব রাজীব সিংহকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে। কয়েক মাস আগে যখন বড় শিল্প এবং ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প দফতরকে মিলিয়ে দেওয়া হয়, তখন রাজীবকেই তার সচিব করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সরকার ফের শিল্প-বাণিজ্য এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরকে আলাদা করে দিয়েছে। রাজীব সিংহকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পুরনো দফতর ক্ষুদ্র শিল্প।

প্রশাসনিক মহলের খবর, শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই রাজীবকে সরে যেতে হল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীকে উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সচিবের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর— শিল্পসচিবের দায়িত্ব দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী রাজীবকে যা নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি সে ভাবেই চলছিলেন। এ নিয়ে অবশ্য বার বার যোগাযোগ করেও শিল্পমন্ত্রী ও শিল্পসচিবের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন