সবাই সমান, বার্তা দিদির

জয়ে খুশি হয়ে শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ দিন এমন কোনও কাজ করেননি যেখানে প্রদীপ বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন।

Advertisement

দেবমাল্য বাগচী

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

সবে-মিলি: খড়্গপুরের সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদীপ সরকার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাটিয়ে জয় এসেছে। কিন্তু যাঁর হাত ধরে দল প্রতিষ্ঠার পর রেলশহরে বিধানসভায় প্রথম জয় এল, তিনি অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাড়তি গুরুত্ব পেলেন না।

Advertisement

এ বার খড়্গপুর সদর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে জিতেছেন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার। এমন ঐতিহাসিক জয়ে খুশির হাওয়া তৃণমূলে। জয়ের পর শহরে প্রশাসনিক জনসভায় আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রাবণপোড়া ময়দানে সেই প্রশাসনিক জনসভায় কাউকেই বাড়তি গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রেলশহরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহু চর্চিত। দ্বন্দ্ব মেটাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি শুভেন্দু অধিকারী। ফল মিলেছে। এসেছে জয়। তৃণমূলের অন্দরের আলোচনা, এ বারের উপ-নির্বাচনে কিছুটা হলেও দ্বন্দ্ব যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে, পাশাপাশি কাজ করেছে পুরপ্রধানের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিও। কিন্তু এ দিন প্রয়োজন ছাড়া প্রদীপের নাম নেননি মুখ্যমন্ত্রী।

জয়ে খুশি হয়ে শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ দিন এমন কোনও কাজ করেননি যেখানে প্রদীপ বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন। শুধুমাত্র মঞ্চে উপস্থিতির তালিকা ও শহরের নতুন প্রকল্পের ঘোষণায় ৩০ মিনিটের বক্তৃতায় সবমিলিয়ে তিনবার প্রদীপের নাম নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরে প্রদীপ বিরোধী বলে পরিচিত জেলা নেতা দেবাশিস চৌধুরী (মুনমুন) কথা বলতে এলেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তিনি। যদিও উপস্থিতির তালিকায় অন্যদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দেবাশিসের নাম উল্লেখ করেছেন। মমতা বলেন, “আপনাদের সকলকে মন থেকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাতে আমরা সবাই এসেছি। আপনারা আমাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আমাদের সরকারকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।” তৃণমূল সূত্রের খবর, আসলে এ বারে যে ভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে, আগামী পুরসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত সেটাকে ধরে রাখাই দলের কাছে চ্যালেঞ্জ। তাই দলের জনপ্রতিনিধিদের কাউকেই বাড়তি জায়গা দিতে দেখা যায়নি মমতাকে।

Advertisement

মিশ্র সংস্কৃতির শহরে হিন্দিতেও অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের প্রশংসা করে বলেছেন, “খড়্গপুরে রেলকলোনি রয়েছে। আমিও রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কাজ করেছি। এখানের আইআইটি থেকে শিক্ষা নিয়ে পড়ুয়ারা বিশ্বের বিভিন্ন দরবারে পৌঁছে যাচ্ছে।” শুভেন্দুকে মমতা বলেছেন, “শুভেন্দু তুমি একটি ভাল বড় ট্রান্সপোর্ট জোন করে দাও। যাতে খড়্গপুরকে মাথায় রেখে। কারণ, মানুষ যখন আমাদের দিয়েছে, মানুষকেও আমাদের দিতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন