নারদ কাণ্ডে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাইতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু সেই অস্বস্তি যেন গায়েই মাখতে চাইলেন না মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে এ দিন সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বেরনোর সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহসী মুখ দেখিয়ে বলেন, ‘‘রায় ভাল হয়েছে। ইতিবাচক।’’
সুপ্রিম কোর্টের ঘটনাপ্রবাহ দেখে মঙ্গলবার প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি তৃণমূলের কোনও নেতাই। দলের অন্দরে ছিল উদ্বেগের স্রোত। সন্ধ্যায় মমতার মন্তব্য শুনে একান্তে নেতাদের অনেকেরই বিস্ময়মাখা প্রশ্ন, এই রায়ে ইতিবাচক কী দেখলেন দিদি! হাইকোর্টে আগেই মুখ পুড়েছিল সরকারের। সুপ্রিম কোর্টে আরও বেইজ্জতি হল। কিছু নেতার ব্যক্তিগত দুর্নীতি আড়াল করতে সরকার কেন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল— এই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক তদন্তের সময় বেড়ে ১ মাস, খুশি সিবিআই
দলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাবে কি না সে ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি মমতা। নবান্নের কিছু কর্তার সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। যুক্তি ছিল, হাইকোর্ট যে ভাবে পুলিশের সমালোচনা করেছে তাতে রাজ্যকেও সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে।
ওই নেতাদের মতে, হতে পারে নেত্রীর এই বার্তা দেওয়ার তাগিদও ছিল যে এটা নিছক আইনি লড়াই নয়, শোভন-সুলতানদের একার লড়াইও নয়। এই রাজনৈতিক লড়াই তাঁরও।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এখন উল্টো সুর বাজছে নবান্নে। সরকারের একটি সূত্র বলছে, প্রকাশ্যে সাহসী মুখ দেখানোটাই রাজনৈতিক দস্তুর। মমতা সেটাই করেছেন। কিন্তু ভিতরে ভিতরে সম্ভবত বোধোদয় হয়েছে তাঁর। কারণ ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা এ দিন জানিয়েছেন, আর কোনও দিন কারও হয়ে সরকার আদালতে যাবে না।