—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা বাজারে মঙ্গলবার দুপুরে যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের মিছিলে স্লোগান উঠছে, ‘জুয়েলের মতো আর কত’, তখন পৌঁছেছে খবর— মালদহের পরিযায়ী শ্রমিক শুকুরুদ্দিন মোমিনকে ওড়িশা সম্বলপুরে এমন মারধর করা হয়েছে যে তিনি শয্যাশায়ী। মুর্শিদাবাদের সুতির জুয়েল রানাকে সম্বলপুরেই বেধড়ক মারধর করে খুন করা হয় গত বুধবার। পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে এই আক্রমণের কথা এ দিন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভায় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক আছেন, তাঁরা এখনও ফিরে আসছেন না কেন?’’
শুকুরুদ্দিনের বাড়ি কালিয়াচক ১ ব্লকের মারুপুর গ্রামে। ঘটনাটি ২৩ ডিসেম্বরের। জানাজানি হতে সেখানকার দামোদর থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। শুকুরুদ্দিনের সঙ্গীদের থেকে খবর পেয়ে পরিবারের লোক মালদহের কালিয়াচক থানায় যোগাযোগ করেন। কালিয়াচক থানার পুলিশ ওড়িশার সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত সেখানে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করা মালদহের কয়েক জন শ্রমিক থানা থেকে তাঁকে অসুস্থ অবস্থাতেই বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
বড়জোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওড়িশায় পরিযায়ী শ্রমিকের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। ক্ষমতা আমাদেরও আছে। আমরাও ওড়িশা ভবন ঘেরাও করতে পারি। কিন্তু আমরা ভদ্রতা করি। তবে ভদ্রতারও সীমাথাকা উচিত।’’
ভিন্-রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ীদের মারধরের অনেক ঘটনা সামনে আসায় ভগবানগোলায় পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের আয়োজনে পরিযায়ী শ্রমিকদের মিছিলে জেলাতেই কাজ দেওয়ার দাবি উঠেছে, যাতে ভিন্-রাজ্যে আর যেতে না হয়। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘আজ পরিযায়ী শ্রমিকদেরও মাসে আমরা পাঁচ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। কর্মশ্রীর কাজ দিচ্ছি, শ্রমশ্রীর। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাব। যারা বাইরে আছেন এখনও নাম তোলেননি, ফর্ম পূরণ করে নাম তুলুন।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে