বৈঠকে বেসরকারি কলেজকে চান মমতা

এ বার বেসরকারি স্কুলের ইচ্ছামতো টাকা নেওয়া বন্ধ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ মে ওই সব স্কুলকে নিয়ে প্রস্তাবিত বৈঠকে ডাকা হচ্ছে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতিনিধিদেরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০৪:০১
Share:

—ফাইল চিত্র।

রোগীদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যথেচ্ছ টাকা নেওয়া ঠেকাতে তিনি ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন কিছু দিন আগেই। একই পথে এ বার বেসরকারি স্কুলের ইচ্ছামতো টাকা নেওয়া বন্ধ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ মে ওই সব স্কুলকে নিয়ে প্রস্তাবিত বৈঠকে ডাকা হচ্ছে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতিনিধিদেরও। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগে জানিয়েছিলেন, ওই বৈঠক হবে নবান্নে। রবিবার তিনি জানান, নবান্নে নয়। মুখ্যমন্ত্রী ওই দিন বৈঠক করবেন টাউন হলে।

Advertisement

হাজারো পরীক্ষানিরীক্ষা এবং নানা বাহানায় বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম বিল বাড়িয়ে রোগীদের নাকাল করছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। কয়েক মাস আগে পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠায় প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এই ধরনের হাসপাতাল-নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। একই ভাবে বেসরকারি স্কুলগুলি বিভিন্ন খাতে টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। ওই সব স্কুল যাতে আর ইচ্ছামতো টাকা নিতে পারে, সেই জন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চায় বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

তার পরেই স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে এই ধরনের স্কুলের ফি-কাঠামো কেমন, কোন কোন খাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়, সেই বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। তার পরেই বেসরকারি স্কুলগুলিকে বৈঠকে ডাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ডাকছেন বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতিনিধিদেরও।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কত টাকা ফি নিতে পারে, আমরা তা বেঁধে দিয়েছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ পাচ্ছি, তার থেকে বেশি ফি নেওয়া হয়। মেধাবী অথচ অভাবী পড়ুয়াদের জন্য যে-সংরক্ষণ রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে তা-ও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই মুখ্যমন্ত্রী সকলের সঙ্গেই কথা বলতে চান।’’ রাজ্যের সব স্কুলে বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করেছে তৃণমূল সরকার। আইএসসিই, সিবিএসই স্কুলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়েও কথা বলতে চায় সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement