গ্রামের বেকারদের ‘মুক্তিধারা’ মমতার

স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে জানান, তাঁদের নিখরচায় প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ‘মুক্তিধারা’ নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীই।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ০৩:৫২
Share:

গ্রামে বেড়ে উঠেছেন, কিন্তু কোদাল চালাতে জানেন না। ১০০ দিনের কাজে পুকুর কাটার পরিশ্রমও করতে পারেন না। এমন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কম নয়। তাঁদের রোজগারের ব্যবস্থা করতেই ‘মুক্তিধারা’ প্রকল্প শুরু করছে সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে জানান, তাঁদের নিখরচায় প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ‘মুক্তিধারা’ নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীই। ইতিমধ্যেই পাইলট প্রকল্প হিসেবে পুরুলিয়া জেলায় এর কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই আরও ১০টি জেলায় কাজ শুরু হয়ে যাবে। দফতরের এক আধিকারিক জানান, মুরগি, হাঁস, ছাগল পালন থেকে মাছ চাষ এবং ডেয়ারি ফার্মিং— সবেতেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এঁদের নিয়ে তৈরি হবে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠী। মন্ত্রী জানান, বাজেটে এর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ১১টি জেলার ৩৮টি সদরের ২০৬টি ব্লকে কাজ শুরু করা হবে। প্রতি সদরে একটি করে অফিস খোলা হচ্ছে। আর প্রতিটি ব্লকের পাঁচটি করে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বেছে নেওয়া হবে। এক-একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০টি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করা হবে। এই পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

Advertisement

সাধনবাবুর দাবি, পুরুলিয়ার পাইলট প্রকল্পে সাড়া মিলেছে। তিনি জানান, বেকারদের জন্য সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে, যা থেকে ৩০% পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়। কোনও ব্যবসায় ৫ লক্ষ টাকার মূলধন দরকার হলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেয় সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বেকারদের ব্যাঙ্ক থেকে সেই ধরনের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এ ব্যাপারে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও মৎস্য দফতরও সহায়তা করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন