ফের ব্যালটের ভোটে ফিরতে উদ্যোগী মমতা

লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ইভিএম নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। নির্বাচনের পরেও ইভিএম ‘কারচুপি’র আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৯ ০৪:৩৬
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।—ছবি পিটিআই।

ইভিএম ‘কারচুপি’ রুখতে ফের পুরনো প্রথায় কাগজের ব্যালটে ভোটের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামার ভাবনা শুরু করল তৃণমূল। তবে অবশ্যই তা অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে। শুক্রবার দলের নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠকে এতে সায় দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ইভিএম নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। নির্বাচনের পরেও ইভিএম ‘কারচুপি’র আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি, ফল ঘোষণার পরেও ইভিএম নিয়ে তাঁর সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন। এ দিনের বৈঠকেও ইভিএম প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন দলনেত্রী নিজেই। তাঁর সন্দেহ, দেশ জুড়ে বহু জায়গায় এই কারচুপির জন্য ফল ‘উল্টোপাল্টা’ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গও তার বড় ‘শিকার’।

এ দিন এ বিষয়ে আলোচনার মধ্যেই আসে কাগজ ব্যালটের প্রসঙ্গ। সূত্রের খবর, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, বিশ্বের বহু উন্নত দেশ ইভিএম বাতিল করে ফের কাগজের ব্যালটে ফিরে গিয়েছে। কারণ, ইভিএমে যে কারচুপি সম্ভব, তা প্রমাণিত হয়েছে। আমেরিকার মতো দেশও কাগজের ব্যালটে ফিরে গিয়েছে। তা হলে এ দেশেই বা তা হবে না কেন? এ নিয়ে দাবি তোলা উচিত।

Advertisement

বিষয়টি অনুধাবন করে মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, এটা ভাল প্রস্তাব। বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। রাজ্যসভায় দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে তিনি নির্দেশ দেন, বিরোধীদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে এই দাবি নিয়ে নিরন্তর আন্দোলন গড়ে তোলা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করতে।

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলনেত্রীর উদ্যোগে সারা দেশের ২৩ টি দল নিয়ে ব্রিগেডে যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে জম্মু কাশ্মীরের বর্ষীয়ান নেতা ফারুক আব্দুল্লা থেকে শুরু করে অন্ধ্রের নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু— সকলেই ইভিএম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সভার পরে ইভিএম বিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি খসড়া কমিটিও তৈরি হয়েছিল। ইভিএমের পাশাপাশি ভিভিপ্যাট গোনার দাবি করা হয়েছিল সেই সময়। পরবর্তীকালে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় দেশের বিরোধী দলগুলি।

দলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও, ভোটগ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ইভিএম কারচুপির অভিযোগ থেকে সরে আসা যাবে না। এ দিন তিনি ফের দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে মানুষের ভোটে রাজ্যে তৃণমূলের ১৮টি আসনে হার হয়নি। ইভিএম ‘কারচুপি’র জন্যই ফলাফল আশানুরূপ হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন