মাদ্রাসা বাঁচাতে উদ্যোগ

পড়ুয়া জনা তিরিশ এবং শিক্ষক মাত্র চার জন। কোনও কাজই হচ্ছে না। বন্ধ হওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে ২০০ বছরের পুরনো হুগলি মাদ্রাসা। অভিযোগ পেয়েই ওই মাদ্রাসা সচল করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫২
Share:

ফাইল চিত্র।

পড়ুয়া জনা তিরিশ এবং শিক্ষক মাত্র চার জন। কোনও কাজই হচ্ছে না। বন্ধ হওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে ২০০ বছরের পুরনো হুগলি মাদ্রাসা।

Advertisement

অভিযোগ পেয়েই ওই মাদ্রাসা সচল করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ জুলাই সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সচিব পি বি সেলিম পরিস্থিতি দেখতে যান। শিক্ষক-পড়ুয়াদের কথাও শোনেন।

মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে ৪৪টি মাদ্রাসা আছে তাদের অধীনে। আর ৬১৪টি মাদ্রাসা রয়েছে মাদ্রাসা পর্ষদের আওতায়। হুগলি মাদ্রাসা দীর্ঘদিন শিক্ষা দফতরের অধীনেই ছিল। ২০০৮-এ সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২-য় তাকে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনে আনা হয়। কী ভাবে এই পুরনো মাদ্রাসাকে স্বমহিমায় ফেরানো যায়, চেষ্টা চলছে।

Advertisement

সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সচিব পি বি সেলিম ২৫ জুলাই চুঁচুড়ায় গিয়ে ওই মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হুগলি মাদ্রাসা চালু করতে চাইছেন। সব কিছু ঘুরে দেখেছি। ২০০ বছরের পুরনো এই মাদ্রাসাকে চালু করার চেষ্টা হচ্ছে,’’ বলেন সেলিম।

মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ফুরফুরা শরিফের সঙ্গেও যুক্ত। তিনি জানান, ১৮১৭ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন হাজি মহম্মদ মহসীন। সৈয়দ আমির আলি, ফুরফুরার পির আবু বক্কর সিদ্দিকী-সহ অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি ছাত্র ছিলেন। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পড়ানো হত। ক্রমশ পড়ুয়া কমতে থাকে। এখন প্রায় বন্ধ ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ৬১৪টি মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছেন। এটাকেও বাঁচাবেন,’’ প্রত্যাশা সাজ্জাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন