ফাইল চিত্র।
একের পর এক বন্যা এবং ফণী-আমপান-বুলবুল-ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গ। অবস্থা এমনই যে, ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে ইতি টানতে পারছে না প্রশাসন। রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সরকারি ত্রাণ তহবিলে সহযোগিতা চেয়ে বৃহস্পতিবার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সাহায্য হিসেবে টাকার বদলে ত্রাণসামগ্রী দিলেও চলবে।
কেন্দ্রের দাবি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রতিটি ঘটনার পরেই তারা রাজ্যে সাহায্য পাঠিয়েছে। আর রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি থেকে গিয়েছে প্রতিশ্রুতিতেই! কাজের কাজ কিছু হয়নি। আমপান বা ইয়াসের ধাক্কায় যে-বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কেন্দ্রের সহযোগিতা সেই তুলনায় নামমাত্র। ফলে বিশাল আর্থিক বোঝা ঘাড়ে নিয়েই রাজ্যকে সব দুর্যোগ সামলে মানুষকে সুরাহা দিতে হচ্ছে।
“এক বছর অন্তর এই পরিস্থিতি চলছে। ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং এ বছর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দু’বছর ধরে কোভিড চলছে। আমাদের তো কেউ কিছু দেয় না! যতটা পারি, মানুষকে সাহায্য করি। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল-সহ একাধিক তহবিল রয়েছে। পারলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। সরকার একা তো সব করতে পারে না,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সরকারের বক্তব্য, বন্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে অনেক বার কেন্দ্রকে লেখা হয়েছে। কিন্তু এখনও নির্দিষ্ট ভাবে প্রতিকারের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। সম্প্রতি অফিসারদের একটি দলকে সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, ৩৬টি জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। ঘাটালের গঠন নৌকার মতো, তাই মাস্টার প্ল্যান ছাড়া সেখানকার সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।