মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুই শিবিরেরই রাতের ঘুমে থাবা বসিয়েছে বিজেপি! এ বার বাবরি-ধ্বংসের ২৫ বছর পূর্তিকে উপলক্ষ করে সেই বিজেপি-র বিরুদ্ধেই পথে নামছে বাম ও তৃণমূল। ‘কালা দিবস’ ও ‘সংহতি দিবস’ পালনের নামে একই দিনে শহরে জোড়া কর্মসূচি নিয়েছে তারা।
কয়েক বছর ধরেই ৬ ডিসেম্বর ‘সংহতি দিবস’ পালন করে তৃণমূল। এ বারও সে দিন গাঁধীমূর্তির নীচে দলের সমাবেশে প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভার জন্য কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় প্রস্তুতিও চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। কাঁচরাপাড়ায় প্রস্তুতি-সভা করতে গিয়ে রবিবারই যেমন দুই তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহ ও পার্থ ভৌমিক কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন অধুনা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের উদ্দেশে!
আরও পড়ুন: মাদকে মামলার ভাবনা মুকুলের, পাল্টা তৃণমূলেরও
সিপিএমের সঙ্গে সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, এসইউসি এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন মিলে ৬ তারিখ মিছিল হবে ধর্মতলা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত। ‘কালা দিবসে’র ওই মিছিলে বামেরাও লোক আনবে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা থেকে। তবে কাদের বিজেপি-বিরোধিতা কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে কটাক্ষের পালাও চলছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র যেমন টুইটে মন্তব্য করেছেন, ‘‘বাবরি-ধ্বংসের পরেও সাক্ষাৎকারে বিজেপি-কে ‘স্বাভাবিক মিত্র’ বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই ঘটনার পরেও কেন্দ্রে এনডিএ মন্ত্রিসভায় ছিলেন। এখন সাম্প্রদায়িকতার প্রতিবাদ তো লোককে ঠকানো!’’ আবার তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বিজেপি-র মোকাবিলায় দিল্লিতে জোট গড়ে উঠছে। তৃণমূলকে বাদ দিয়ে সেটা অসম্ভব। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন চেয়েছেন।’’