Durga Puja 2020

উৎসবের ঢাকে কাঠি আজই, চেতলায় চক্ষুদান করলেন মমতা

এ দিন বিকেল ৪টেয় নজরুল মঞ্চে দলীয় পত্রিকা ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার উদ্বোধনও করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৩:২২
Share:

চেতলা অগ্রণীর প্রতিমার চক্ষুদান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র

দুর্গাপুজোর বাকি আর ৯ দিন। তার আগে আজই উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে। এ দিন 'চেতলা অগ্রণী'তে দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার উদ্বোধনও করেন মমতা।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিন বিকেল ৪টেয় নজরুল মঞ্চে দলীয় পত্রিকা ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার উদ্বোধন করেন দলের সর্বময় নেত্রী। প্রত্যেক বারের মতো এ বারও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দলের শীর্ষ নেতারাও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন-সহ এক ঝাঁক নেতা-নেত্রীর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে এ বার করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠানে কড়াকড়ি করা হয়। জোর দেওয়া হয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ একাধিক বিষয়ে।

পুজো সংখ্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সেরেই ‘চেতলা অগ্রণী’র দুর্গাপুজো মণ্ডপে যান মমতা। ওই পুজোটি 'ফিরহাদ হাকিমের পুজো' নামেই পরিচিত। সেখানে প্রত্যেক বারের মতো এ বারও প্রতিমার চক্ষুদান করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন: বন্ধ ট্রেন, ভয়ঙ্কর বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে স্তব্ধ দেশের বাণিজ্যনগরী

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বাঙালির মহোৎসব। এই আবহে ‘চেতলা অগ্রণী’র জাঁকজমক এ বার অন্যান্য বারের থেকে কিছুটা কম। সেই পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এ বার ‘চেতলা অগ্রণী’র পুজোর থিমও সাজানো হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুঃসময়’। পুজো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে বাঁশের বিশেষ কাজ দিয়ে। সবমিলিয়ে মণ্ডপটিকে পুরনো বাড়ির ভগ্নাবশেষের রূপ দেওয়া হয়েছে। পুজোর সব প্রস্তুতিই সারা হয়ে গিয়েছে। বাঁধা হয়েছে প্রতিমার সামনে অস্থায়ী মঞ্চও। তার উপরে দাঁড়িয়েই প্রতিমার চক্ষুদান করেন মমতা।

আরও পড়ুন: প্লাজমা থেরাপিতে সৌমিত্রর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি, রাতে ভাল ঘুম

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, বুধবার অর্থাৎ ২১ অক্টোবর ষষ্ঠী। কিন্তু তার প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে চক্ষুদান হয়ে গেলেও এ দিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হচ্ছে না। পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ চতুর্থীর দিন থেকে সকলের প্রবেশের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে। তবে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে মণ্ডপে প্রবেশ এবং প্রস্থানে কড়াকড়ি করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে অন্যান্য বিধি পালনেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement