কংগ্রেস ভাঙার কারিগরের মিলল ‘প্রাইজ’

জেলা পরিষদের ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬৯ টি আসনেই দখল করেছে শাসক দল। বাকি কংগ্রেসের এক জন জয়ী হয়েছেন। তৃণমূলের সদস্যদের পাশাপাশি কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত ফরাক্কার আসিফ ইকবালও এ দিন জেলা পরিষদে উপস্থিত ছিলেন। আসিফ তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূল এ দিন দাবি করলেও আসিফ তা অস্বীকার করেছেন।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনে পরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

শেষ পর্যন্ত মোসারফ হোসেন মণ্ডলের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে সর্বসম্মতিক্রমে তিনিই বসলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদের সভাগৃহে দলের নির্দেশ মেনে সভাধিপতি হিসেবে মোসারফ হোসেনের নাম প্রস্তাব করেন মফিজুদ্দিন মণ্ডল। সভাধিপতিকে সমর্থন করেন ধীরানন্দ মিশ্র। অন্য দিকে সহকারি সভাধিপতি হিসেবে বৈদ্যনাথ দাসের নামও প্রস্তাব করেন তিনি। তা সমর্থন করেন ইসারুল হক শেখ। তবে সভাধিপতি বা সহকারি সভাধিপতি হিসেবে অন্য কোনও নাম না আসায় বিনা লড়াইয়ে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁরা নির্বাচিত। দলনেতা হয়েছেন মফিজুদ্দিন মণ্ডল।

Advertisement

জেলা পরিষদের ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬৯ টি আসনেই দখল করেছে শাসক দল। বাকি কংগ্রেসের এক জন জয়ী হয়েছেন। তৃণমূলের সদস্যদের পাশাপাশি কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত ফরাক্কার আসিফ ইকবালও এ দিন জেলা পরিষদে উপস্থিত ছিলেন। আসিফ তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূল এ দিন দাবি করলেও আসিফ তা অস্বীকার করেছেন।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি কিংবা সহকারি সভাধিপতি হিসেবে একাধিক নাম ঘুরপাক খাচ্ছিল জেলাজুড়ে। জেলা পরিষদের বিদায়ী সহকারি সভাধিপতি শাহনাজ বেগম, জেলা পরিষদের পুর্তদফতরের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ মোসারফ হোসেন মণ্ডল, শমসেরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আনারুল হক (বিপ্লব), লালবাগ মহকুমা তৃণমূলের সভাপতি রাজীব হোসেন— কে ছিলেন না সেই তালিকায়। তবে, গত রবিবার কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর ডাকা বৈঠকে সভাধিপতি হিসেবে মোসারফ হোসেন মণ্ডল, শাহনাজ বেগম ও মফিজুদ্দিন মণ্ডলের নাম উঠেছিল।

Advertisement

কিন্তু সেদিন কারও নাম ঘোষণা হয়নি। তেমনি সহকারি সভাধিপতি হিসেবে জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস এবং বড়ঞা থেকে নির্বাচিত কৃষ্ণেন্দু রায়ের নাম উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত মোসারফ হোসেন মণ্ডল, বৈদ্যনাথ দাসের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল।

গত পঞ্চায়েত ভোটের দিন নওদার পাটিকাবাড়িতে গুলিতে এক নির্দল সমর্থক খুন হয়েছিল, জখম হয়েছিল এক জন। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল মোশারফের। সেই তাঁকেই দল সভাধিপতি হিসেবে বাছলো কেন? প্রশ্নটা উঠেছিল দলের অন্দরেই।

সূত্রের খবর বছর দু’য়েক আগে কংগ্রেসের সদস্যদের দলে টেনে জেলাপরিষদের দখল নিয়েছিল তৃণমূল। তার মূল কারিগর ছিলেন মোসারফ। এ ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতৃত্বসহ প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সূসম্পর্ক রয়েছে মধুর তিনি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।

ক’য়েক মাসে আগে কংগ্রেস ছেড়ে দলে যোগ দেওয়া নওদার বিধায়ক আবু তাহের খানের সঙ্গে তাঁর ‘সাপে নেউলে’ সম্পর্ক। মধু এবারে নওদা বিধানসভা আসনের দাবিদারও। মধুকে সভাধিপতি করে দু’জনের সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে। এমন সব পরিস্থিতির জন্য সভাধিপতি পদটি মোসারফের পক্ষে গিয়েছে। যদিও মোসারফ বলছেন, “দল আমাকে যোগ্য মনে করেছে, তাই দায়িত্ব দিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন