পুরনো নেতা হিসেবে তিনি দলের সম্পদ। তাঁকে কোনও অসম্মান করা হবে না। কিন্তু পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ নিয়ে এআইসিসি যা সিদ্ধান্ত নেবে, বিনা শর্তে তা মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখতে হবে। দিল্লিতে মানস ভুঁইয়াকে এমনটাই জানিয়ে দিল কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব।
যার পরে মানসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি এখনও পিএসি-র চেয়ারম্যানর পদে রয়েছি। আমাকে এআইসিসি কিছু পরামর্শ দিয়েছে। ভেবে দেখব।’’
বিধানসভার পিএসি (পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি)-র চেয়ারম্যান পদে মানসবাবুর থাকা, না থাকা নিয়ে জট কাটাতে আজ দিল্লিতে অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান ও মানসের সঙ্গে বৈঠক করেন সি পি জোশী। পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা জোশী প্রথমেই মানসকে জানিয়ে দেন, বিধানসভা ভোটে জোটের কথা মাথায় রেখেই পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদটি বামেদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডই সেই সিদ্ধান্ত নেয়।
মানসবাবুকে জোশী জানান, এর পরও তিনি পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে থাকতে চাইলে সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর কাছে চিঠি লিখে অনুমোদন চান। তার পরে তিনি যে নির্দেশই দিন, বিনা শর্তে তা পালন করতে হবে।
মানস বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। প্রদেশ নেতাদের আশঙ্কা, ভেবে দেখার বাহানা করে কালক্ষেপ করতে পারেন তিনি। সে আশঙ্কার কথা তাঁরা জোশীকে জানিয়েওছেন। জোশী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, অনির্দিষ্ট কাল চিঠি না-দিয়ে বসে থাকতে পারবেন না মানস।
তবে এ দিনের বৈঠকেও বিষয়টির মীমাংসা হল না। মান্নান বলেছেন, ‘‘এআইসিসি যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই-ই মেনে নেব।’’