মূল চাকরিটা তাঁর শুল্ক দফতরেই। কিন্তু সেখানে ফিরেও আপাতত তিন মাস কর্মহীন অবস্থায় বসেই থাকতে হবে মনোজ কুমারকে। সাসপেন্ড দশা চলছে তাঁর।
সাসপেন্ড অবস্থাতেই বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি থেকে মনোজকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুল্ক দফতরে। মনোজ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিন মাসের মধ্যে রিভিউ কমিটি বসাবে শুল্ক দফতর। সেই কমিটি যদি তাঁকে নির্দোষ মনে করে, তা হলে তিনি কাজে ফেরতে পারবেন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে শুল্ক দফতর থেকে ডেপুটেশনে ইডি-তে যান মনোজ। ২০১৩-য় ইডি-র হয়ে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে নামেন তিনি। ২০১৫-য় রোজ ভ্যালিরও তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় তাঁর উপরে। তিনিই গ্রেফতার করেন ওই লগ্নি সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে। সম্প্রতি এক হাওয়ালা কারবারির সন্ধান পেয়ে তদন্তের স্বার্থে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কিছু সিসিটিভি ফুটেজ চায় পুলিশ। সেই ফুটেজেই গৌতমের স্ত্রী শুভ্রার সঙ্গে মনোজকে দেখা যায় বিমানবন্দরে। হোটেলের লবিতেও দেখা গিয়েছে দু’জনকে। অভিযোগ, মনোজ যে-সংস্থার আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছেন, তারই মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মেলামেশার অর্থ— তদন্ত প্রভাবিত হচ্ছে। তবে শুভ্রা জানান, মনোজ তাঁর দুঃসময়ের বন্ধু। আর মনোজ দাবি করেন, তদন্ত কোনও ভাবেই প্রভাবিত হয়নি।
মনোজকে সাসপেন্ড করে তাঁর হাত থেকে রোজ ভ্যালি-সহ সাতটি লগ্নি সংস্থার তদন্তের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। দিল্লি থেকে তিন অফিসার এসে তদন্ত শুরু করেন। শুভ্রা-মনোজকে সল্টলেকে ইডি অফিসে ডেকে জেরা করা হয়। দিল্লি ফিরে গিয়ে সংস্থার ডিরেক্টরকে রিপোর্ট দেন তিন অফিসার। তাঁরা মনে করছেন, অভিযুক্তের স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশার ফলে তদন্ত প্রভাবিত হয়েছে।