উচ্চ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক। মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক। নিম্ন স্তর থেকে স্কুলকে পরের স্তরে উন্নীত করার ক্ষেত্রে জোয়ার আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার। মাত্র তিন মাসে ৮০টিরও বেশি স্কুলকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। এবং এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সম্ভব হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, জুনিয়র হাই এবং মাধ্যমিক স্তরের বেশ কিছু স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তুলে আনা হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকেরও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে কিছু স্কুলকে। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রতি বছরই কিছু কিছু স্কুলকে উন্নীত করা হয়ে থাকে। এ বছর দ্রুত সেই কাজ করার মূলে আছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতীদের সংবর্ধনায় বেশ কিছু স্কুলকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানায় অনেক পড়ুয়া। তাদের একাংশ জানিয়েছিল, যে-স্কুল থেকে তারা মাধ্যমিক পাশ করেছে, উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে চায় সেখানেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেই সুবিধা না-থাকায় তাদের অন্য স্কুলে চলে যেতে হচ্ছে।
কিছু স্কুলে মনের মতো বিষয় না-থাকাটাও বড় অসুবিধা। কিছু স্কুলে মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা আছে। সেই জুনিয়র হাইস্কুলে পড়ার পরে তাই নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রেও অসুবিধার মুখে পড়ছিল অনেকে। এই সব সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই বিভিন্ন স্কুলকে দ্রুত পরবর্তী স্তরে উন্নীত করতে উদ্যোগী হয় দফতর।
আগে স্কুলকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করার আবেদন জেলা স্কুল পরিদর্শক থেকে বিকাশ ভবনের স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবালয়, কমিশনারেটে ঘুরতে ঘুরতেই প্রচুর সময় চলে যেত। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে সেই প্রক্রিয়ায় টানাপড়েন অনেকটাই এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তার।