Terrorists

লকডাউনে বঙ্গে শক্তি বাড়িয়েছে জঙ্গি সংগঠন

গ্রেফতারের পরে নাসিমুদ্দিনকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই মাদ্রাসায় সেই সময় তার সঙ্গে ছিল আমিরুদ্দিন আনসারি, আব্দুর রকিব সরকারের মতো এ রাজ্যে আল-কায়দার শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাকালে অতিমারির মারণ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি একিউআইএস বা আল-কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রামে সংগঠন বাড়িয়েছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। লকডাউনে বেশির ভাগ মানুষের গৃহবন্দিদশাই জঙ্গিদের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের দাবি, সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে হুগলির দাদপুরে ধৃত নাসিমুদ্দিন শেখ ওই সময় হাওড়ার বাঁকড়ার একটি মাদ্রাসায় আল-কায়দার সদস্যদের সঙ্গে থেকেছে বহাল তবিয়তে।

Advertisement

মঙ্গলবার গ্রেফতারের পরে নাসিমুদ্দিনকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই মাদ্রাসায় সেই সময় তার সঙ্গে ছিল আমিরুদ্দিন আনসারি, আব্দুর রকিব সরকারের মতো এ রাজ্যে আল-কায়দার শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিরা। গোয়েন্দাদের দাবি, সেই সময় ওই মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছিল, এমন বেশ কয়েক জন জঙ্গি অসম ও মধ্যপ্রদেশের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। আমিরুদ্দিনকে গত বছর মার্চে এবং রকিবকে গত অগস্টে গ্রেফতার করে এসটিএফ।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, লকডাউন চলাকালীন বাংলাদেশে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধির কাজ করে গিয়েছে জঙ্গিরা। এসটিএফ জানতে পেরেছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ এবং রাজ্যের অন্যত্র ওই জঙ্গি সংগঠনের ‘মডিউল’ বা কেন্দ্র তৈরি করেছিল ধৃতেরা। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই সংগঠনের সক্রিয় চাঁইয়ের সংখ্যা কমবেশি কুড়ি। তাদের মধ্যে গত বছর ছ’জন ধরা পড়লেও অন্যদের সঙ্গে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল নাসিমুদ্দিন। তারা বাংলাদেশে বসে থাকা আবু তালহা-সহ তিন বাংলাদেশির নির্দেশে এ রাজ্যে সংগঠনের কাজকর্ম চালাচ্ছিল। ওই বাংলাদেশি জঙ্গিরা করোনার পরে বার বার এ দেশে এসেছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

ধৃত নাসিমুদ্দিনকে বুধবার বারাসত আদালতে তোলে এসটিএফ। বিচারক তাকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন