ভাই এবং ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা চলে গিয়েছেন আগেই। এ বার মানস ভুঁইয়ার তৃণমূলে যাওয়াও কি আসন্ন? শাসক এবং কংগ্রেস শিবির গুঞ্জন এখন প্রবল। তৃণমূলের একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নাকি সেই মাহেন্দ্রক্ষণ!
সবংয়ে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মানসবাবুর নামে মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনও বহাল। তারই মধ্যে দল-বিরোধী কাজের দায়ে কংগ্রেস পরিষদীয় নেতৃত্ব মানসবাবুকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করে রেখেছে এআইসিসি-র কাছে। পরিষদীয় দল তাঁকে বয়কটও করছে। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যানের ঘর এখনও তৈরি না হওয়ায় বিধানসভার অলিন্দেই বসতে হচ্ছে মানসবাবুকে। এবং খাতায় কলমে কংগ্রেসে থেকেও তৃণমূলের সিঙ্গুর নিয়ে বিজয় উৎসবে দিব্যি হাজির হয়ে গিয়েছিলেন! তাই তৃণমূলের পতাকা তাঁর হাতে নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই জল্পনা।
তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই জীবনে প্রথম বার দল বদলাতে পারেন মানসবাবু। পরের দিন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী হয়ে তিনি যেতে পারেন ত্রিপুরায়। তার পরে অভিষেক মানসবাবুর উপস্থিতিতে সবংয়ে সভা করতে পারেন। কিন্তু মানসবাবু যে বলতেন, কংগ্রেসের পতাকা থাকবে তাঁর মরদেহের উপরে! সেই প্রতিজ্ঞার কি অকাল মৃত্যু হবে?
মানসবাবুর জবাব, ‘‘কংগ্রেসের পতাকা নিয়েই তো মরতে চেয়েছিলাম! কিন্তু কোনও সংস্থার মালিক যদি ম্যানেজারকে বলে কাল থেকে আপনি দারোয়ান হয়ে যাবেন! তখন কি ম্যানেজার দারোয়ান হবে নাকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিড়ি খাবে?’’
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘এত দিন কংগ্রেসে থেকে তৃণমূলের কাজ করছিলেন! এখন তৃণমূলে গিয়েই তৃণমূলের কাজ করার স্বাধীনতা তাঁর আছে!’’