সরকারি স্কুলে নিয়োগের আগে প্রার্থীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং পুলিশকে দিয়ে তাঁর অন্যান্য তথ্য যাচাই চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বার প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সব ধরনের স্কুলেই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ডাক্তারি পরীক্ষা এবং পুলিশি রেকর্ড যাচাইয়ের ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে ওই সব পরীক্ষা হবে প্রাথমিক নিয়োগপত্র দেওয়ার পরে কিন্তু নির্দিষ্ট পদে স্থায়ীকরণের আগে।
রবিবার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের প্রথম বার্ষিক জেলা সম্মেলনে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম চালু করার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বদলি নীতিও পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এখন একমাত্র সরকারি স্কুলেই শিক্ষক নিয়োগ করা হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-র মাধ্যমে। সে-ক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ে পাশ করার পরে পুলিশ রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয় ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সরকারি স্কুল ছাড়া সব প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে। উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি।
মন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘এ বার থেকে সরকারি স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী অন্য সব স্কুলেও শিক্ষক পদপ্রার্থীদের পুলিশি রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে এবং ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। তবে সেগুলো করা হবে স্থায়ী ভাবে নিয়োগের (কনফার্মেশন) আগে।’’
স্থায়ী হওয়ার আগে পুলিশ রেকর্ড খতিয়ে দেখা এবং ডাক্তারি পরীক্ষার পদ্ধতি সমর্থন করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু জানান, শিক্ষক-পদে স্থায়ীকরণের আগে এই সব পরীক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকলে সেটি স্বাগত। যত ক্ষণ না রিপোর্ট আসছে, তত ক্ষণ নিয়োগ আটকে থাকলে গোটা প্রক্রিয়াটাই বিলম্বিত হয়।
একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী এ দিনের অনুষ্ঠানে জানান, এক মাসের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে এবং মাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার চেষ্টা চলছে।