প্রতীকী ছবি।
টালবাহানা চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত শেষ দিনেও ফর্ম পূরণ করতে পারলেন না অধিকাংশ চিকিৎসক-পড়ুয়া। অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থার অনলাইন ব্যবস্থার জটিলতায় ভুগতে হচ্ছে ওই মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীদের।
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ছিল এমবিবিএস পাঠ্যক্রমের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন। অভিযোগ, অধিকাংশ পড়ুয়াই অনলাইনে নানা জটিলতার জেরে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি। ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশনের দিন নির্ধারিত হয়। তার মধ্যে দু’দিন শনি ও রবিবার পড়ে যাওয়ায় পড়ুয়ারা রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে পারেননি।
এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে নানা ধরনের জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে। ভীষণ সমস্যা হচ্ছে
দ্বাদশ শ্রেণি পাশের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে। অনেকেই গত বছর বিডিএস, নার্সিংয়ের মতো পাঠ্যক্রমে ভর্তি হয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। এ বার এমবিবিএসে সুযোগ পাওয়ায় তাঁদের পাঠ্যক্রম পরিবর্তিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে কী ভাবে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন, তা নিয়েও জট পাকিয়েছে।
রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বাড়ানো এবং রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবিতে ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র পক্ষ থেকে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সংগঠনের তরফে চিকিৎসক কবিউল হক বলেন, ‘‘অনলাইনে ফর্ম পূরণের নামে পড়ুয়াদের হয়রান করা হচ্ছে। তা ছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি এক লাফে দু’হাজার থেকে বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হল। এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশও দেওয়া হয়নি। ফলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়েছেন।’’ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রার সুকান্ত সিংহ এ দিন ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দিয়েছেন, রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি তথ্য জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে টানাপড়েন যাতে বন্ধ হয়, সেই জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।