পঞ্চায়েত সদস্যদের বিধায়ক করতে বিল

চারটি পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও অশোক ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে বিধানসভারও সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

পুরসভার কাউন্সিলরেরা বিধায়ক থাকতে পারেন। চারটি পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও অশোক ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে বিধানসভারও সদস্য। এ বার থেকে পঞ্চায়েতের সদস্যরাও একই সঙ্গে বিধায়ক থাকতে পারবেন। সেই লক্ষ্যে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বিধায়কেরা জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতির পরপর তিনটি বৈঠকে গরহাজির থাকলে যাতে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল না হয়, তার জন্যও পঞ্চায়েত আইন সংশোধন করা হচ্ছে।\

Advertisement

আরও পড়ুন: পৃথক পথের সারথি কারা, প্রশ্ন সিপিএমে

বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই আসছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত ইলেকশন্‌স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৭’। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ বা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সদস্যেরা এত দিন পর্যন্ত বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলেই পঞ্চায়েতের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিতে হতো। নয়া বিলে বলা হয়েছে, এখন থেকে পঞ্চায়েতের তিন স্তর ও মহকুমা পরিষদের কোনও সদস্য একই সঙ্গে বিধায়কও থাকতে পারবেন। শাসক দল সূত্রে ব্যাখ্যা, বহু কাউন্সিলর, পুরসভার চেয়ারম্যান বা মেয়রেরা বিধায়ক থাকায় পঞ্চায়েত সসদ্যদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সিদ্ধান্ত। বিধায়ক ও পঞ্চায়েতের সদস্য হিসেবে দ্বৈত ভূমিকায় থাকাকালীন ‘লাভজনক পদে’র আওতা থেকে তাঁরা কী ভাবে বাইরে থাকবেন, তার সংস্থানও থাকছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত (সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৭’-এ। এ ছাড়া, ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৭’ নামে তৃতীয় বিল আসছে। পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ির অনুমতি, ব্যবসার উপরে লেভি আদায় সংক্রান্ত বিধির পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে বিলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement