জোট বেঁধে লড়াইয়ের কথা গুরুদাস-স্মরণে

প্রবল দুর্যোগের মধ্যে মহাজাতি সদনে শনিবার সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদ আয়োজিত স্মরণ-সভার মঞ্চে কংগ্রেস ও বাম নেতারা দেশ ও রাজ্যে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথাই বলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৭
Share:

ফাইল চিত্র।

অর্থনীতিতে মন্দা। শ্রম আইনে আরও রদবদল আনতে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিভাজনের রাজনীতি এবং অসহিষ্ণুতার পরিবেশ জাঁকিয়ে বসছে। এই পরিস্থিতিতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে আদালতের রায়ের দিনেই গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জোট বাঁধার কথা এল গুরুদাস দাশগুপ্তের স্মরণ-সভায়।

Advertisement

প্রবল দুর্যোগের মধ্যে মহাজাতি সদনে শনিবার সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদ আয়োজিত স্মরণ-সভার মঞ্চে কংগ্রেস ও বাম নেতারা দেশ ও রাজ্যে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথাই বলেছেন। আমন্ত্রণ জানানো হলেও প্রাক্তন সাংসদ ও বামপন্থী শ্রমিক নেতার স্মরণ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বিজেপি ও তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিকে। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলের নেতারাই গুরুদাসবাবুর মৃত্যুর পরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন। সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বিনা ভাড়ায় মহাজাতি সদন ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

স্বাধীনতার পরে এই প্রথম বাংলা থেকে রাজ্যসভা বা লোকসভায় কোনও বামপন্থী সাংসদ নেই। সেই শূন্যতার মধ্যে গুরুদাসবাবুর মতো কণ্ঠের অভাব আরও বেশি করে অনুভূত হচ্ছে বলে মনে করছেন বাম নেতারা। সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, ‘‘ছাত্র রাজনীতি, শ্রমিক আন্দোলন বা সংসদ— সব ক্ষেত্রেই গুরুদাস ছিলেন নায়ক। অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা। চক্রব্যূহের মধ্যে ঢুকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে জানতেন।’’ সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম প্রয়াত অগ্রজ সতীর্থের পড়াশোনা, পরিশ্রম ও নানা পরামর্শের কথা উল্লেখ করে স্মরণ করেছেন, উন্মাদনা বা জিগির তৈরির রাজনীতিই এখন চলছে। কিন্তু গুরুদাসবাবু আজীবন সাধারণ মানুষ, শ্রমিক-কর্মচারীর দাবি-দাওয়া নিয়ে লড়াই করে গিয়েছেন।

Advertisement

ভিন্ন ধারার রাজনীতি করলেও গুরুদাসবাবু যে মানুষের অধিকারের পক্ষে জোরালো সওয়াল করতে জানতেন, সে কথা উল্লেখ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর বক্তব্য, শ্রমিক ফ্রন্টে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন গুরুদাসবাবু। বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূলের মেরুকরণের বিরুদ্ধে বামেদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরাও ধর্মনিরপেক্ষ বিকল্প গড়ে তুলতে চাইছেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপি-র ক্ষিতি গোস্বামী, এসইউসি-র অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের কার্তিক পাল, পিডিএসের সমীর পূততুণ্ড-সহ সব বাম দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন