পাহাড়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত জেনেও কী ভাবে বাহিনী প্রত্যাহার করছে কেন্দ্র? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ছবি: পিটিআই।
অশান্তির পাহাড় থেকে আচমকা কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিল, পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১০টি কোম্পানিকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। আগামী কাল অর্থাৎ সোমবারই তুলে নেওয়া হচ্ছে এই বাহিনী। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য প্রশাসনকে সহায়তা করতে ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও পাহাড়ে মোতায়েন থাকবে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ দিন যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ৩ কোম্পানি এসএসবি রয়েছে। ১৬ অক্টোবর অর্থাৎ আগামী কাল থেকে ৭ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ৩ কোম্পানি এসএসবি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে বলে রাজ্যকে জানিয়েছে কেন্দ্র। বাকি ৫ কোম্পানি সিআরপিএফ ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পাহাড়ে থাকছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। তবে ২০ তারিখের পরেও ওই ৫ কোম্পানি পাহাড়ে থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: ‘এমন স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ জীবনে কখনও দেখিনি’
আরও পড়ুন: গুরুঙ্গপন্থীদের বাড়ি, পার্টি অফিসে আগুন, তথ্য লোপাটের চেষ্টা: পুলিশ
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক দু’দিন আগে পাহাড়ে গুরুঙ্গ অনুগামীদের গুলিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিকের। গত রাতে পাতলেবাসে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গিয়েছে অনেকগুলি বাড়ি এবং মোর্চার পার্টি অফিস। শুধু পাহাড় নয়, অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর জেরে উত্তেজনা এখন গোটা রাজ্যেই। এই পরিস্থিতিতে পাহাড় থেকে ১০ কোম্পানি বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিল কী ভাবে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। রাজ্য সরকারের প্রতিবাদ এবং ক্ষোভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপযুক্ত মহলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।