Nandigram

২১ জুলাই খেজুরিতে বিজেপির মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, নন্দীগ্রামে গ্রেফতার দলের মণ্ডল সভাপতি

বুধবার নন্দীগ্রামে গ্রেফতার হলেন এক বিজেপি নেতা। ধৃতের নাম শ্যামাপ্রসাদ দাস। তিনি নন্দীগ্রাম ৩ মণ্ডলের সভাপতি বলে খবর দলীয় সূত্রে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ১৮:২৩
Share:

শ্যামাপ্রসাদ দাস। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের ২১ জুলাই কর্মসূচির দিন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ব্লকের শ্যামপুর এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শ্যামপুর এলাকায় বিজেপির স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, ধৃতদের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। তারই তদন্তে বুধবার নন্দীগ্রামে গ্রেফতার হলেন এক বিজেপি নেতা। ধৃতের নাম শ্যামাপ্রসাদ দাস। তিনি নন্দীগ্রাম ৩ মণ্ডলের সভাপতি বলে খবর দলীয় সূত্রে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমার আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২১ জুলাই খেজুরি ২ ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই কর্মসূচি চলাকালীন নম্বরপ্লেটবিহীন একটি মোটরবাইককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। বাইকে থাকা দুই যুবককে তল্লাশি করতে গিয়েই উদ্ধার হয় একটি ওয়ান শাটার বন্দুক। এর পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, তাঁদের নাম চন্দন কলা এবং সহদেব দাস। চন্দন খেজুরির শেরখানচকের বাসিন্দা আর সহদেব থাকেন নন্দকুমারের শ্রীকৃষ্ণপুরে। পরের দিন ধৃতদের কাঁথি আদালতে হাজির করিয়ে তাঁদের নিজেদের হেফাজত নেয় পুলিশ।

তদন্তকারীদের একটি সূত্রে খবর, দুই ধৃতকে জেরা করে তাঁদের সঙ্গে নন্দীগ্রামের বাসিন্দা শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গে যোগসাজশের বিষয়টি জানান গিয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, কী উদ্দেশে খেজুরিতে দু’জনকে পাঠানো হয়েছিল, সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।

Advertisement

নন্দীগ্রামে দল যাতে সু‌ষ্ঠু ভাবে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে না পারে, তার জন্যই ‘চক্রান্ত’ করে শ্যামাপ্রসাদকে ফাঁসানো হল বলে দাবি করছে বিজেপি। দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা একটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমরা এ বার অনেক জায়গায় বোর্ড গঠন করতে চলেছি। তার আগে শাসকদলের কথায় সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় শ্যামাপ্রসাদকে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ভাবে লড়াই করব। তবে কোনও মূল্যে আমাদের কর্মীদের দমাতে পারবে না।’’

শাসক তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, বিজেপি নেতার গ্রেফতারিতে তাদের কোনও যোগ নেই। রাজনীতির সঙ্গে তা সম্পর্কিত নয়। খেজুরির তৃণমূল নেতা শ্যামল মিশ্র বলেন, ‘‘এক সময় যারা নন্দীগ্রাম ও খেজুরিতে সিপিএমের ছাতার তলায় দাপিয়ে বেড়াত, তারাই এখন বিজেপির ছত্রছায়ায় গিয়ে নতুন করে এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে। গ্রেফতার হওয়া দু’জন কেন বন্দুক নিয়ে এসেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কাকে গ্রেফতার করবে, সেটা সম্পূর্ণ পুলিশের ব্যাপার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন