চলতি মাসেই মহিষাদলে সেতু চালুর আশ্বাস

চলতি মাসেই মহিষাদলের হিজলি টাইডাল ক্যানালের সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। বুধবার ক্যানালের উপর নির্মীয়মাণ সেতুর কাজ ঘুরে দেখেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। জেলাশাসক জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৫ ০১:২২
Share:

চলতি মাসেই মহিষাদলের হিজলি টাইডাল ক্যানালের সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। বুধবার ক্যানালের উপর নির্মীয়মাণ সেতুর কাজ ঘুরে দেখেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। জেলাশাসক জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ দিন সেতু তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ‘ম্যাকিনটোস বার্ন লিমিটেড’-এর আধিকারিকরা মহিষাদলে আসেন। অন্তরাদেবী বলেন, “দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার আধিকারিকদের বলেছি, সেতুর কাজ ১০-১২ দিনের মধ্যে সেষ করতে হবে। তাঁরা সেই কাজ করে দেবে বলে জানিয়েছেন। সেতুর কিছু শেষ পর্যায়ের কাজ বাকি রয়েছে। তবে এ মাসেই সেতু চালু করতে হবে।” জেলাশাসকরে সঙ্গে এ দিন সেতুর কাজ দেখতে আসেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল, পূর্ত দফতর (সড়ক)-এর তমলুক হাইওয়ে ডিভিশন-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার চন্দন পাণিগ্রাহি, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী, মহিষাদলের বিডিও তন্ময় বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষাদল থানার উল্টো দিকে পাশকুঁড়া-দুর্গাচক রাস্তায় হিজলি টাইডাল ক্যানালের ওপর থাকা সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জীর্ণ অবস্থায় ছিল। ২০১৩ সালে পুর্ত দফতর প্রায় ৪ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নতুন করে নির্মাণের দায়িত্ব নেয়। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ ‘ম্যাকিনটোস বার্ন লিমিটেড’-এর হাতে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চ মাস শেষ হতে চললেও সেতুর কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেতুর তমলুকের দিকের আপ্রোচ রোডের কাজও এখনও বাকি রয়েছে। সেতুর শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। এই সেতু বন্ধ থাকায় নন্দকুমার থেকে ঘুরপথে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মহিষাদলে যেতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসীরা।

চন্দন পাণিগ্রাহি জানান, পুরনো সেতুর কাঠামো, পিলার সরিয়ে নতুন সেতুর কাজ শুরু হতে মাস ছ’য়েক দেরি হয়েছিল। তবে এখন জোরকদমে সেতুর কাজ চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দিন দশেকের মধ্যে সেতু চালু হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন