প্রচারই সার। এখনও বাল্য বিবাহে রাশ টানা যায়নি। বন্ধ হয়নি নারী পাচারও। সেই কাজে জোর দিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার।
কাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে? জেলা থেকে গ্রাম-স্তরে কমিটি তৈরি করে কমিটির সদস্যদেরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যদিও এখনও প্রশাসন সব স্তরে কমিটিই তৈরি করতে পারেনি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ডিস্ট্রিক্ট লেভেল চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটি’ (ডিএলসিপিসি) ও ‘ব্লক লেভেল চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটি’ (বিএলসিপিসি) তৈরি করা গেলেও গ্রামে তৈরি করা যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অর্ধেক গ্রামেও কমিটি নেই। আবার যেখানে কমিটি হয়েছে তাঁরাও নিজেদের কাজ সম্বন্ধে অবহিত নন। কেন কমিটি তৈরি করা যায়নি? জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক প্রবীর সামন্ত বলেন, “কমিটি তৈরি চলছে। ‘মাস্টার ট্রেনার’দের প্রশিক্ষণ শেষ হলে সর্বত্রই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি কমিটিও তৈরি করা হবে।”
বাল্য বিবাহ ও নারী পাচার রুখতে স্কুলে স্কুলে ছাত্রীদের মাধ্যমেও প্রচার হয়েছে। পুরোহিত, নাপিতদের নিয়েও শিবির হয়েছে। তবু এখনও বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটছে। অভিভাবকদের মধ্যে কেন সেই সচেতনতা তৈরি করা যাচ্ছে না তা নিয়ে সংশয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। প্রশাসনিক কর্তারাও মেনে নিচ্ছেন, মূলত, পুরনো প্রথার বশবর্তী হয়ে শিক্ষিত মানুষও দ্রুত মেয়ের বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্যই কাজটি করছেন। এ ভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক সময় নারী পাচারের ঘটনাও ঘটছে। তবে আগের থেকে অনেক বেশি বাল্য বিবাহের খবর মিলছে। তাকে সাফল্য হিসাবেই দেখছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ।